পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন এই শাস্ত শিব অদ্বৈতের দিকে ; কখনই প্রমন্ত তার দিকে নয় । আমাদের যিনি ভগবান তিনি কখনই প্রমত্ত নন ; নিরবচ্ছিন্ন স্বষ্টি পরম্পরার ভিতর দিয়ে অনন্ত দেশ ও অনস্ত কাল এই কথারই কেবল সাক্ষ্য চিচে । “এষ সেতু বিধরণ লোকনামসম্ভেদায় ।” এই অপ্ৰমত্ত পরিপূর্ণ শাস্তিকে লাভ করবার অভিপ্রায় একদিন এই ভারতবর্ষের সাধনার মধ্যে ছিল । উপনিষদে ভগবদগীতায় আমরা এর পরিচয় যথেষ্ট পেয়েছি । মাঝখানে ভারতবর্ষে বৌদ্ধযুগের যখন আধিপত্য হল তখন আমাদের সেই সনাতন পরিপূর্ণতার সাধনা নিৰ্ব্বাণের সাধনার আকার ধারণ করলে। স্বয়ং বুদ্ধের মনে এই নিৰ্ব্বাণ শব্দটির অর্থ যে কী ছিল তা এখানে আলোচনা করে কোনো ফল নেই, কিন্তু দুঃখের হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্তে শূন্ততার মধ্যে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করাই যে চরম সিদ্ধি এই ধারণা 8や2