পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন জটিল নিয়মে বেদি সাজিয়ে, কেবল মন্ত্র পড়ে কেবল আহুতি ও বলি দিয়ে মানুস সিদ্ধিলাভ করতে পারে এই ধারণাই একান্ত হয়ে উঠে ছিল ; তখন মন্ত্র এবং অনুষ্ঠানই, দেবতা এবং মানুষের হৃদয়ের চেয়ে বড় হয়ে দাড়tল । তার পরে জ্ঞানের সাধনার যখন প্রাদুর্ভাব হল তখন মানুষের পক্ষে জ্ঞানই একমাত্র চরম হয়ে উঠল—কারণ, যার সম্বন্ধে জ্ঞান তিনি নিগুণ নিস্ক্রিয়, সুতরাং তার সঙ্গে আমাদের কোনো প্রকার সম্বন্ধ হতেই পারে না ; এ অবস্থায় ব্ৰহ্মজ্ঞান নামক পদার্থ টাতে জ্ঞানই সমস্ত, ব্ৰহ্ম কিছুই নয় বল্লেই হয়। একদিন নিরর্থক কৰ্ম্মই চূড়ান্ত ছিল ; জ্ঞান ও হৃদ্ধত্তিকে সে লক্ষ্যই করেনি, তার পরে যখন জ্ঞান বড় হয়ে উঠল তখন সে আপনার তাধিকার থেকে হৃদয় ও কৰ্ম্ম উভয়কে নিৰ্ব্বাসিত করে দিয়ে নিরতিশয় বিশুদ্ধ হয়ে থাকবার চেষ্টা করলে । তার পরে ভক্তি যখন মাথা তুলে দাঁড়াল (t 8