বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: o-o-o-o শিশু-জ্ঞগল্পতী পছন্দ করিতেন না এবং দশবছর বয়সেই নিজেকে কার্যক্ষম বলিয়া ভাবিতেন । তা ছাড়া লিভিংস্ট্রোনের পিত। নিতান্ত দরিদ্র ছিলেন । সুস্থ-সবল দশৰৎসরের বালককে বসাইয়া পাওয়াইপার মত অর্থও তাহার ছিল না। কাজেই, এগার বংসর বয়সেই ডেভিড় কারখানার (Factory) কাজে ভক্তি হইলেন। ভোর ছয়ট হইতে স্বর করিয়া রাত্রি আটটা পৰ্য্যস্ত থাটিতেন । তারপর কাগু দেহে পাড়া ক্ষিরিয়াই নৈশবিদ্যালয়ে পড়িতে যাইতেন। ‘ভাজিল’চ ছিল তার প্রিয় লেখক ; কাজের ভিতল একটু সময় পাইলেই তিনি ভাৰ্জ্জিল পড়িতেন । অতি শৈশব হইতেই লিভিংষ্টোনের চরিত্রে একটা বিশেষত্ব ছিল । প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্গা তাহাকে খুবই আনন্দ দিত। গাছপালা, ফুল, পাবীব গান, এসব তিনি খুবই ভাল বাসিতেন। তাছার লিখিত আফ্রিকার ভ্রমণ-কাচিনী পঢ়িলে একথাটি বিশেষ ভাবে বুঝিতে পারা যায়। লিভিংষ্টোন বই পড়িতেও খুব ভালবাসিতেন। বিশেষ করিয়া ভ্রমণকাহিনী তিনি পুৰত পড়িতেন । ভাই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অজানা দেশ আবিষ্কার করিবেন এই আকাঙ্গণ র্তাহার মনে জাগিয় উঠে। তাহার বয়স যখন বিশ বৎসর, সে সময়ে তাহার এই স্বপ্ন কিয়ং পরিমাণে সফল চলার উপক্রম দেখা গিয়াছিল। ধৰ্ম্ম প্রচারক গুচয় চীনদেশে যাইবেন, স্থির করিয়া তিনি চিকিৎসা বিদ্যা পড়িতে লাগিলেন। ১৮৪ • খৃষ্টাব্দে যখন চীন যা ওয়ার সব স্থির হইয়া গেল ঠিক সেই সময়েই সেখানে এক সুদ্ধ বধিয়া গেল । কাজেই, তইার আর চীন যাত্র হইল না। লগুনের প্রচারক সমিতি লিভিংস্টোনকে ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ দ্বীপে পাঠfহতে চাইলেন কিন্তু লিভিংষ্টোন সেখানে যাইতে সম্মত হইলেন না । সেখানে কোন ভাল চিকিৎসক নাই, তিনি এমন স্থানে যাহতে চাহিলেন । এই সময় ডা: রবাট মফাট (Dr. Mofat) নামক একজন প্রচারকের সহিত তাছার পরিচয় হয়। এই ডাঃ মফাটুই লিভিংষ্টোনকে তখনকার দিনে ভীতিপ্রদ এলং প্রায় অজ্ঞাত আফ্রিকা মহাদেশে যাইবার সম্বন্ধে উৎসাহিত করিয়া তোলেন। পরে এই ডাঃ মফাটের কন্যাকেই লিভিংষ্টোন বিবাহ করেন।লিভিংষ্টোনের উৎসাহদাতা হিসাবে ডাঃ মফাটের নাম স্মরণীয় ইহবাব যোগ্য। গৃহের পরিজনবর্গ, মাতা, পিতা, ভাইবোনদের নিকট হইতে বিদায় লইয়। ১৮৪০ খৃঃ অঃ লিভিংষ্টোন -- 〉○○* --- সৰ্ব্বপ্রথম আফ্রিকা যায়। করিলেন । আফ্রিকায় পৌছিয়াই তিনি বুঝিতে পারিলেন, তাহার সম্মুখে কি বিরাট কার্যাক্ষেত্র পড়িয়া রহিয়াছে। বড় বড় সংর ৮ঠতে দূরে সহরের লাহিরে যাহারা থাকিত, তাহাদের অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় ছিল এই সব দেখিয়া লিভিংষ্টোণ খুবই ছ:পিত হইলেন ও সহর ইষ্টতে দূরে লেচুয়ান। রাজ্যের কুরুমাল নামক স্থানে বা এ করিলেন । ডাক্তার মফাট, সেখানে থাকিতেন । ডাক্তাল মফাট তখন ইংল্যাণ্ডে ছিলেন। তিনি না ফিরিয়া আসা পর্য্যন্ত লিভিংষ্টোনকে কোন অভিযান করিতে নিষেধ করিয়া গিয়াছিলেন । অনেক দিন কাটিয় গেলেও ডাক্তার মফাট, যখন ফিরিলেন না, তখন লিভিংষ্টোন কয়েকজন দেশীয় অতুচর ও একজন ইংরাজ সঙ্গী লইয়া সেখান হইতে উত্তর দিকে রওন। হইলেন । এই তাহার প্রথম অভিযান । দুই বৎসর কাল আফ্রিকায় থাকিবার পর আরও উত্তরে অগ্রসর হইয়া উপনিবেশ স্থাপন করিবার অনুমতি আসিল। পূদের অভিজ্ঞতা ইষ্টতে লিভিংষ্টোন বুঝিয়াছিলেন যে, মালংসাতে(Mabotsa) একটি স্থায়ী কেন্দ্র (station) করিতে পারিলে ভাল হয়। কাজেই, তিনি তাহাই কবিলেন। এই সময় ইহতেই নানা বিপদের মপা দিয়া লিভিংষ্টোনেল ধৈর্যোর পরীক্ষা আরম্ভ হইল। আফ্রিকার এই সব জায়গায়ু জলবায়ু নিতান্ত অস্বাস্থ কর ছিল। জর প্রায়ই হন্ত ত, তাছাড়া দেশীয় সদারের অত্যন্ত লন্দিগ্ধ প্রকৃতির ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল । একবার একজন জরাক্রাস্ত কাফ্রী অনুচরকে ঔসধ দেওয়ায়, লোকটিকে বিধ খাওয়ান হইতেছে ভাবিয়া অন্য সকলে উত্তেজিত হইয়। উঠিয়ছিল । তাছাড বদ্যঞ্জস্তুর উৎপাত তো ছিলই । লিভিংষ্টোন নিজেই অনেকবার মরণের মুখ হইতে বাচিয়া আসিয়াছেন । একবার তিনি এক সিংহের কবলে পড়েন, তাহাতে র্তাহার বাম বাহুট প্রায় অকৰ্ম্মণা হইয়া ধায় । ইহার বছ বৎসর পরে যখন লিভিংষ্ট্রোনের মৃতদেহ ইংল্যাণ্ডে আনীত হয়, তখন এই পঙ্গু বাম বাছটি দেখিয়াই মৃতদেহটি বিখ্যাত আবিষ্কৰ্ত্তা লিভিংষ্টোনের বলিয়া সকলে চিনিতে পারিয়াছিলেন তিনি আরও কতবার যে কত জলহস্তী, কুমীর, আরও ভীষণ হিংস্ৰ জন্তুর হাতে পড়িয়াছিলেন, তাহার সীমা-সংখ্যা নাই । কিন্তু ভগবানের কৃপায় কোন বারেই বিশেষ কোন আঘাত পান নাই। - -