পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*--- কোথায় এমন হয়েছে যে, ভেতরের স্তর উপরে আসার পরে ঝড়-বৃষ্টিতে আবার ভেঙ্গে চুরে গেছে, আবার তার মুড়ি কাকর নদীর স্রোতের সঙ্গে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে। কখন কখন দেখৰে যে, ভূমিকম্পের দরুন অনেকখানা জমিতে স্তরগুলো একেবারে ঘোট-মণ্ডল হয়ে গেছে, অর্থাৎ নীচেরটা ওপরে এসেছে, ওপরেরট স্তরের পাহাড় নীচে গেছে। আবার দেখ, যে সব জস্তুর হাড় বt আঁস বা খোলা ছিল না, তাদের কোন চিহ্নই পাথরের স্তরে পাওয়া যায় না। কিন্তু পণ্ডিতেরা আজ এই পাথর পরীক্ষাতে এমন হুশিয়ার হয়েছেন যে,জেলী মাছের চলার দাগও তারা দেখে চিনতে পারেন। জেলী মাছ তোমরা দেখিয়াছ কি ? পুরীর সমুদ্রের বালীর উপর সাদা থলথলে তাল শাসের মতন যে পদার্থ পড়ে থাকে, তারই নাম জেলী মাছ। পৃথিবীর আদিম প্রাণী যারা আজও বেঁচে আছে, এই জেলী মাছ তারই একটি। এর হাড়-গোড় নেই। জলে এর উৎপত্তি, তাই দেহখানার টাকায় সাড়ে পনের আনারও বেশী ভাগ জল। একটা মজার গল্প-বলি শোন:—একবার এক চাষ। সমুদ্র-তীরে গাদা গাদ জেলী মাছ পড়ে


ــمـــــــــ--

X 8Գd <গুলেন্স মাটি-শাথেন্স ++++++ আছে দেখে ভাবলে, এগুলো মিছেমিছি নষ্ট হয় কেন, গায়ে নিয়ে গেলে ত উৎকৃষ্ট ক্ষেতের সার ছতে পারে। এই না ভেবে সে এক গাড়ীতে জেলী মাছ ভরে রওয়ানা করে দিলে নিজের গ্রামের দিকে । निcछ वांछांद्र रुiछे क८द्र नकri cवणांब्र यथन बtएँौ পৌছল, তখন তার স্ত্রী এক কুলে। আগমলীর মতন শুকনো একটা কি পদার্থ তার সামনে রেখে জিজ্ঞেগ করলে, হাগা, এ আবার কি পাঠিয়ে দিয়েছিলে গরুর গাড়ী করে ? চাষা জবাব দিলে—আমি ষে এক গাড়ী জেলী মাছ পাঠিয়েছিলাম সে গুলো গেল কোথায় ? চাষানী বললে—মাছ! মাছ ত পাই নেই। শেষ খোজ খবর নিয়ে জানা গেল যে, সেই এক গাড়ী জেলী মাছ রোদে শুকিয়ে এক মুঠো অামলী হয়েছে। প্রাচীন কালের জলচর প্রাণীদের মজা দেখলে ত ? তোমরা শিশু-ভারতী’তে অাগেই জীব-তত্বের কথা অনেক পড়েছ। কেমন করে কীটাণু থেকে জেলী মাছের মত প্রাণীগুলো হল, জেলী মাছ থেকে শামুক গুগলী ঝিনুক হল, তার থেকে কাকড়া বিছে চিংড়ি মাছ হল, তার থেকে মাছ হল, গোসাপ হল, তারপর স্তস্থ পায়ী জীব হল, সব শেষে মানুষ হল, এ সব তোমরা জান । কিন্তু মজার কথা এই যে, আদিম প্রাণীর কেউ কেউ (জেলী,মাছের মতন) আজও বেঁচে আছে। কলকাতার রাস্তায় যেমন অতি আধুনিক মোটরকার আর আস্ত কালের গরুর গাড়ী পাশাপাশি চলেছে দেখতে পাও, সেই রকম প্রাণিজগতেও দেখতে পাবে এক দিকে মামুষের মতন দেবোপম প্রাণী, জার অন্ত দিকে আদি যুগের এমিবা। এই এমিবার কথা তোমাদিগকে আমি একটু বলবো। যথার্থ রাস্কুলে জানোয়ারগুলো প্রায় সব লোপ পেয়ে গেছে। বেঁচে আছে এক তিমি । তা, ডাঙ্গায় থাকলে লেও অতিকায় গোধাগুলোর মত কোনকালে লোপ পেয়ে যেত, কোন রকমে জলে পালিয়ে প্রাণ বাচিয়েছে। তোমরা জান ত, যে, তিমি স্তন্যপায়ী জীব, মাছ নয়। বহু যুগ জলে বাস করার দরুণ তার হাতপায়ের গড়ন বদলে গেছে। হাত-পায়ের গড়ন যে বদলে যায়, তা তোমরা নিশ্চয় জান । আমাদের মেয়েদের পা, আর মেম সাহেবের ঠুটো পা তুলনা করলেই বুঝতে পারবে। বংশপরম্পরায় জুতো পরে ওদের পায়ের আঙ্গুলগুলোর কি দশাই হয়েছে। আমরা যে মানুষ, এক কালে আমাদের পায়ের ও হাতের আঙ্গুলের মাপ একই ছিল যেমন পশুদের