পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- লাগল—এ খনির ভেতর, ভাই, নিশ্চয় ভূত আছে। সে বেচারা মুর্থ মানুষ, তারা জানবে কোথা থেকে আদিম কালের প্রাণীর গল্প। তোমরা বুদ্ধিমান ছেলে তোমরা থাকলে নিশ্চয় ভয় পেতে না । যাক কিছু দিন পরে সেই খনিতে আসতে লাগল দলে দলে নানা দেশ থেকে পণ্ডিতমণ্ডলী । তাদের চোখের সামনে আরও পাথর খুঁড়ে তোলা হতে লাগল। দেখা গেল যে সেই খনির ভেতর একটা কাচা মেটে পাথরের স্তর আছে, আর লেই স্তরে অনেক জায়গায় ও রকম মানুষের হাতের ছাপের মতন দাগ আছে । শুধু তাই নয়, আরও এক এক জোড়া করে ছোট হাতের ছাপ বড় গুলোর সামনে সামনে পাওয়া গেল। আরও দেখা গেল, সেই মেটে পাথরের স্থানে স্থানে লেজ ঘস্টাবর দাগ। পণ্ডিতেরা সিদ্ধান্ত করলেন যে, এই পাথরেব দাগ কোন চতুষ্পদ লেজ-ওয়ালা গরুমহিষের মতন বড় উভচর প্রাণার। কিছু দিন পরে ঐ রকম আর এক পাথরের খনিতে পাওয়া গেল পায়ের দাগের সঙ্গে একটা অদ্ভুত গঠনেরট দাত । তার উপর কত চিত্র-বিচিত্র и 19|| || of- সেই লুপ্ত অতিকায় উভচরের নামকরণ হল, 1.abyrinth-w8 of: (..** মেটে পাথরের স্তর দেখে হিসেব হল যে এই জানোয়ার বেঁচে ছি পৃথিবীর অঙ্গার যুগে । এই রকম করে ধীরে ধীরে পণ্ডিতেরা পাথরের ভেতর থেকে ভূমণ্ডলের ইতিহাস উদ্ধার করেছেন । এইবার তোমাদিগকে ক্ষিতিমণ্ডলের গঠন সম্বন্ধে দু-চার কপ। বলতে চাই। হয় ত তোমাদের জানতে ইচ্ছা হবে যে, পৃথিবীর এই মাটিপাথরের খোসাট। কত পুরু। সমস্ত ভূমণ্ডলের তুলনায় অতি সামান্ত-আন্দাজ চল্লিশ মাইল। ভূমণ্ডের ব্যাল মেরু থেকে মেরু পণ্যস্ত প্রায় আট হাজার মাইল, (ঠিক ৭৯১৮ মাইল) মনে আছে ত ? তাহলে আমাদের ভূমিতল হতে পৃথিবীর ঠিক মধ্যখানটা ( কেন্দ্র ) চার হাজার মাইল। এই চার চাজার মাইলের মধ্যে মাত্র চল্লিশ মাইল ক্ষিতিমণ্ডল—তার ভেতরে ভূগর্ভ। এই ভূগর্ভের কথা আমরা বেশী কিছু জানি না, তবে এটা স্থির জানি যে, এর চুম্বক শক্তি


ه-به-|

›8ግማ BBBBBeeeDD DBBYSLLggD S S আছে। কেন না, পৃথিবীর উপরে কম্পাসের চুম্বকশলা ঠিক উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে দাড়ায়। আর এক কথা জানি ভূগর্ভের বিষয়ে। হিসেব করে দেখা গেছে যে, সারা ভূমণ্ডলের ওজন জলের সাড়ে পাচ গুণ, কিন্তু তার মাটিপাথরের খোসাটার ওজন জলের আড়াই গুণ মাত্র । এর থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, পৃথিবীর গর্ভ নিশ্চয়ই খুব একটা ভারী ওজনদার পদার্থে ভরা। পণ্ডিতেরা চুম্বকশক্তি ও ওজন, এই দুই কারণ বিবেচনা করে সিদ্ধাস্ত করেছেন যে, ভূগভস্থ ভারী পদার্থ হচ্ছে লোহা ও নিকেল । আমরা জানি যে, এই দুই ধাতু পৃথিবীর আত্মীয়কুটশ্ব উল্কাপিণ্ডের ( খলা-তারার ) প্রধান উপাদান। তাই, পৃথিবীতেও এরা খুব বেশী পরিমাণে, আছে, এটা মেনে নেওয়া অসঙ্গত নয়। আচ্ছা তাহলে তোমর মেনে নিলে যে, ভূগৰ্ভ লোহা ও "Too মাটি ও কাদা ও প্লেট পাথরের পাহাড় নিকেলে ভর। কিন্তু এই দুই ধাতু সেখানে কি অবস্থায় আছে । ঠিক ত জানা যায় না, তবে এ পর্যান্ত বল খেতে পারে যে, এক রকম তরল অবস্থায় আছে । একেবারে ভেতরের আধখানার জলীয় এমন কি বাষ্পীয় অবস্থা পৰ্য্যস্ত হতে পারে। কিন্তু তার বাইরেট। কাদা কি পাকের মতন নরম পদার্থ। এইটুকু আপাততঃ জেনে রাখ। আসল ভূতত্ত্বের সঙ্গে এই ভূগর্ভের লোহার বেশী সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক শুধু এইটুকু যে, ক্ষিতিমণ্ডলকে এহ ভেতরটা থেকে নানা রকম ধাক্কা-ধুকে খেতে হয় । সে সৰ কথা তোমাদিকে পরে বলছি। - -