পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

soft. - 7 } to " দেহের পুষ্টি—খাদ্য ও পরিপাক মাতুসের জীবন শুধু নয় – প্রাণা জগতেও দেখিতে পাইলে, br● ● সৰ্ব্বদাঙ্গ একটা পরিপত্তন X:వt; চলিতেছে। বড় বড় সহপের কথাত পল, আর ছোট ছোট গ্রামের কথা বল, যেখানে মানুষ বাস করিতেছে, সেখানেষ্ট জীবন ও মৃত্যুর লালাখেলা চলিতেছে। প্রতিদিনই কাহাল ও মৃত্যু হইতেছে, আবার কাঠার ও বা জন্ম হইতেছে । বড় বড় সঙ্গরের জন্ম মৃত্যু তালিক সংবাদপত্রে বাহির হয়। ঐ w.ালিকা ইষ্টতে তোমর। জানিতে পারিবে, এক একটি বড় সহরে প্রতিদিন কত লোকের জন্ম হয় এবং কত লোকের মৃত্যু হয় । এই জীবন-মরণের লীলাখেলা লইয়াই পুগিণী চলিতেছে । যখন কোনও জাতির লোকসংগ্য। মৃত্যু-হারের সহিত তুলনায় বাড়িতে থাকে, তখন সে জাতি জনবলে বলীয়ান হইয়াছে, এমন কথা-বলা চলে। জাতি বা সমাজের পক্ষে যেমন একথা থাঢ়ে, তেমনি আমাদের শরীরের পক্ষে ও এ কথা থাটে । তোমর। জান যে, আমাদের শরীর-চালনার জন্য আমাদের শরীরের মাংস ক্রমাগত ক্ষয় পাইতেছে । পতিদিন হাজার হাজার কোষ (cells) ধ্বংস হয়, আবার জীবিত দেহের মধ্যে হাজার হাজার , কায জন্ম লাভ করে । তোমরা শুনিয়। আশ্চর্যা হইও না, কিন্তু অতি সত্য কথা যে, প্রতি সেকেণ্ডে আমাদের শরীরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ রক্তকোষ (Blood colls) মরিয়া যায়। যদি পুনরায় শরীরের মধ্যে নুতন রক্ত কোমের স্বষ্টি না ইষ্টত তাই হইলে শরীরের অবস্থা কি হইত, বল ত ? যে সব কোষ মরিয়া পৃষ্ঠার পর エー যায়, সেপানে যদি নাতন কেমের উদ্ভব ন হইত, তাহা হইলে ‘জীবন বলিয়। কিছুষ্ট থাকিত ন। শিশু এবং জীবজন্থর ক্ষুদ শাবকের পক্ষে এই রক্ত-কোষের বুদ্ধি হওয়াই যে চাই, নতুপ। শ্রীহদেব বুদ্ধি হঠত কিরূপে ? প্রাণীমাত্রেরই দেহ বাড়িয়া থাকে। নির্জীব পদার্থ —যেমন পাহাড়, সে কি কখনও প্রাণীর ন্যায় দিন দিন একটু একটু করিয়া পাড়িতে পারে ? পারেন। তবে নানারূপ জড়বস্তুর সম্মেলনে তাহার আকার বাড়ে। জীবজগতে--তরুলতা বল অথবা প্রাণীই বল, দেহের পুষ্টিজনক খাদ্য-সামগ্ৰী দ্বার। দেহ বুদ্ধি পায়। : সেই অতি ছোট মায়েল কোলের শিশুটি জন্মের সময় হইতে মাতৃস্তন্য পান করিতে আরম্ভ করিয়া ক্রমশ: নানারূপ থাস্কেব পরিবর্তনের মধ্য দিয়া মৃত্যু পৰ্য্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করিয়ু দেহের পুষ্টি সাধন করিয়া গাকে । আমাদের দেহের মধ্যে যে সকল সজীব কোষ আছে, তাহাব! লাচিবার জন্য খাদ্য চায়। ক্ষুধা দালা তাহণদেল সেই ইচ্ছ। প্রকাশ পায় । যখন আমাদের ক্ষুধ পায়, তখনই বুঝিতে হইবে যে, আমাদের শরীরের মপো যে কোষ অাছে তাeার খাদ্যের প্রয়োজন হইয়াছে। আমাদের এই শরীরটাকে একটা ধর বা কলের (Machine) সহিত তুলনা করিতে পার। কল চলিতে চলিতে ক্ষয় পায়, বিকল হয়। একটি বাড়াও চিরদিন একভাবে থাকে না। তাহাকে খাড়া রাখতে হইলে আমাদের কি করিতে হয় ?