পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব

দ্বারাই ধীরে ধীরে বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে। সস্তানের প্রতি মাতার যে নিঃস্বার্থ স্নেহ তাহাও এই শ্রেণীর। যিনি মাতৃবক্ষে স্তন্য-সুধা দান করিয়াছেন, তাঁহারই করুণায় মাতৃ-হৃদয়ের স্নেহ অমৃত-ধারার ন্যায় প্রবাহিত হইয়া বিমল প্রবাহে জীবলোক পবিত্র ও প্লাবিত করিতেছে। এই স্বভাব-বিকশিত প্রেমই বিশ্ব প্রকৃতিতে অতি পরিস্ফুট রূপে দেখিতে পাওয়া যায়। সেই অলক্ষ্য সঞ্জীবন মন্ত্রে প্রাণীজগৎ বর্দ্ধিত ও রক্ষিত হইতেছে। পাখীটি বনে বনে ঘুরিয়া শাবকের জন্য আহার সংগ্রহ করিতেছে,—নিজে ঝড়বৃষ্টি সহ্য করিয়া পক্ষপুটে সস্তানকে ঢাকিয়া রাখিতেছে। পশু আহার নিদ্রা ভুলিয়া কত যত্নে সন্তান পালন করিতেছে। কীট পতঙ্গেও এই প্রেম বিদ্যমান। কোন কোন ইতরপ্রাণীকে সন্তানের জন্য নিজ প্রাণ পর্য্যন্ত বিসর্জ্জন করিতে দেখা যায়। মানব-মাতার কথা আর কি বলিব? প্রকৃতি যেন জগদ্ধাত্রী বেশে সকল জীবকেই আপনার স্নেহবক্ষে টানিয়া লইয়াছেন। এই প্রেমে যে সৌন্দর্য্য-বোধ, তাহাও প্রকৃতি প্রদত্ত। যে নিগ্রো-শিশুকে শ্বেতকায় ব্যক্তি ঘৃণার চক্ষে দর্শন করেন, সেই কৃষ্ণকায় বালকও নিজ জননীর নিকট কত সুন্দর! তাহার প্রতি কথা,