পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আর্য্যজাতির পতনের কারণ
৮৯

মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। অবিরাম পরিশ্রম এবং প্রাণপাত দ্বারা যে জাতীয় শক্তির হুতাশন উদ্ভূত তাহা সাম্য মৈত্রী এবং তিতিক্ষার হবিদ্বারা পবিত্রীকৃত এবং পরিবর্দ্ধিত হইয়াছিল। ইহাই তাঁহাদের উন্নতির মূল সূত্র। ইহাদ্বারাই তাঁহাদের হোমাগ্নির দীপ্ত-আলোক উজ্জ্বলতর হইয়াছিল।

 আর্য্যগণ স্বাধীনতা মন্ত্রে দীক্ষিত থাকিলেও কল্যাণময়ী মৈত্রীই তাহাদের অনন্ত উন্নতির তীর্থযাত্রা সুগম করিয়া দিয়াছিল,—এবং কণ্টকাকীর্ণ পথকে অতি কোমল হস্তে পরিস্কৃত করিয়া অসাধ্যসাধনে রত রাখিয়াছিল। তাঁহারা জানিতেন, সাম্য ও মৈত্রী ভিন্ন সমাজশক্তিরূপ হর্ম্ম্যের ভিত্তি সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে না। তাই তাঁহারা এক হস্তে স্বাধীনতার পতাকা এবং অপর হস্তে প্রীতির সুরভি পুষ্পমাল্য লইয়া কীর্তির মণিমণ্ডিত সিংহাসন প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এবং আপনাদের বল অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিলেন। এই প্রীতির মন্ত্রেই তাঁহারা সহস্র সহস্র দুর্দ্ধষ অনার্য্যজাতিকে স্ববশে আনিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। নতুবা কেবল অস্ত্রবলে কখনই তাঁহারা ভারতবর্ষে একাধিপত্য স্থাপন করিতে সমর্থ হইতেন না।