বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য ও অলঙ্কার So a তাহার জন্যও আবার অনন্যসাধারণ প্রতিভার প্রয়োজন । মহাকবি প্রসাধননিপুণ বিদগ্ধ পুরন্ত্রীর ন্যায় অলঙ্কারবিন্যাসে যতই কৌশলের পরিচয় দিন না কেন, তাহার লেখনী বাচ্য অলঙ্কারবর্গকে কখনই কাব্যশরীরের মর্যাদা উত্তীর্ণ করাইয়া অস্তঃপুরের মধ্যে প্রবেশাধিকার দিতে পারে না। কিন্তু সেই অলঙ্কার যখন ধ্বনি বা ব্যঞ্জন ব্যাপারের দ্বারা বোধিত হয়, যখন সাক্ষাৎভাবে বাচ্য না হইয়া কাব্যের অনুরণনের ( undertone ) দ্বারা প্রতীত হয়, তখন তাহাই অনায়াসে কাব্যের আত্মার সহিত অভিন্নতা প্রাপ্ত হয় । ব্যঞ্জনা ব্যাপারের এমনই অলৌকিক মহিমা । স্পর্শমণির মত তাহ শরীরকে আত্মায় পরিণত করিয়া দিতে পারে, বহিরঙ্গকে অস্তরঙ্গতম করিয়া তুলিতে পারে, যাহা ছিল তুচ্ছ অলঙ্কার তাহাই ব্যঞ্জনার অনির্বচনীয় স্পর্শ লাভ করিয়া অলঙ্কার্য হইয়া উঠে ।”—সুতরাং প্রাচীন আচার্য ও ধ্বনিসম্প্রদায়ের নব্য সাহিত্যমীমাংসকগণের মধ্যে ভেদ শুধু দৃষ্টিভঙ্গীর বৈচিত্র্যে। অলঙ্কারের আত্মভাব ধ্বনিবাদীরাও মানিয়া লইতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত নন, কিন্তু তাহা ব্যঞ্জনা ব্যাপারের দ্বারা বোধিত হইতে হইবে । ‘বাচ্য অলঙ্কারের সে ঐশ্বর্য নাই । কিন্তু, যদিও ধ্বনিসম্প্রদায়ের নবীন আচার্যগণ বিশেষ ক্ষেত্রে অলঙ্কারের ও অাত্মভাব মানিয়া থাকেন, তথাপি র্তাহীদের মতে রসই কাব্যের মুখ্য আত্মা, কেন না, কাব্যের সমস্ত উপাদানের রসেই পৰ্যবসান। রসই কাব্যের অন্তরতম তত্ত্ব । ভরতাচার্য র্তাহার নাট্যশাস্ত্রে রসকে বীজের সহিত তুলনা করিয়াছেন। যেমন ক্ষুদ্র বীজ অঙ্কর, কাও, শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট বৃহৎ বনস্পতিতে পরিণত হয়, ক্রমে যেমন তাহা মনোহর পুষ্পপল্লবে বিভূষিত হইয়া উঠে, এবং তাহার চরম পরিণতি যেমন বিচিত্র ফলসম্ভারে, সেইরূপ কবির অন্তগূঢ় রসবীজ আপন প্রাণশক্তির উল্লাসবশে শব্দ, অর্থ, অলঙ্কাররূপে আপনাকে অঙ্কুরিত, কুস্থমিত, মঞ্জরিত করিয়া তুলে, সর্বশেষে পরিণত হয় 2. "वथा बोखान् छावन् वृष्क दूष्कार भूणः रुळ९ उथा । তৰা মূলং রসাঃ সৰ্বে তেভ্যে। ভাব। Jৰস্থিতাঃ”—নাট্যশাস্ত্র, ৬ষ্ঠ অধ্যায়।