পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ব

রাখিলাম সীতা। এই অঘােনিসম্ভবা তনয়া অামার গৃহেই পরিবর্তিতা হয়। অন্য আমি এই পণ করিলাম যে, যে ব্যক্তি এই হকাবেলা যােজনা করিতে পারিবেন, আমি তাহাকেই এই কন্যা দিব। ক্রমশ সী বিবাহবােগ্য বয়ঃপ্রাপ্তা হইল। অনেকানেক রাজা আসিয়া আঁহাকে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন, কিন্তু আমি উহাকে কাহারই হতে সম্প্রদান করি নাই।

পরে নৃপতিগণ ঐ হরধনুর সার জ্ঞাত হইবার ইচ্ছায় মিথিলায় আগমন করিতে লাগিলেন। আমিও তাহাদিগকে শাসন প্রদর্শন করিয়াছিলাম, কিন্তু তাঁহারা উহা গ্রহণ কি উত্তোলন করিতে পারেন নাই। তপােধন! তৎকালে মহীপালগণের এইরূপ বলবীর্যের পরিচয় পাইয়াই অগত্যা তাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছি। কিন্তু পরিশেষে যেপ ঘটে, তাহাও শ্রবণ কর।

ভূপালগণ এইরূপ বীৰ্যৰুে কৃতকাৰ্য হওয়া সংশয়স্থল বুঝিতে রিয়া একান্ত ক্রোধাবিষ্ট হইলেন, এবং আমিই এই কঠিন পণ করিয়া তাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছি নিশ্চয় করিয়া বলপূর্বক কন্যাগ্রহণের মানসে মিথিলা অবরােধ করিলেন। নগরীতে বিস্তর উপদ্রব হইতে লাগিল। আমি দুর্গমধ্যে অবস্থান করিয়া তাহাদিগের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলাম। কিন্তু সংবৎসর পূর্ণ হইতেই আমার দুর্গের সমুদায় উপকরণ নিঃশেষিত হইয়া গেল। তদ্দর্শনে আমি যার পর নাই দুঃখিত হইলাম এবং তপঃসাধনে প্রবৃত্ত হইয়া দেবগণের প্রসঙ্গতা প্রার্থনা করিলাম। অনৰ সঁহারা প্রীত হইয়া যুদ্ধার্থ আমায় চতুরণিী সেনা প্রদান করিলেন। আমি ভূপালগণের সহিত পুনৰ্ব্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হইলাম। উভয় পক্ষে বিস্তয় লােক্ষর হইতে লাগিল। পরে সেই