দিয়া[১] কোম্পানী বাহাদুরের প্রতিনিধি স্বরূপ স্বয়ং সর্ব্বপ্রথমে ‘নজর’ প্রদান করিয়া মীরজাফরকে বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যার সুবেদার বলিয়া অভিবাদন করিলেন।[২]
রাজ্যাভিষেক সুসম্পন্ন হইল, লঙ্কাভাগও সুসম্পন্ন হইল, কিন্তু সিরাজদ্দৌলার আর কোন সন্ধান মিলিল না! পুনরায় তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিবার জন্য চারিদিকে সিপাহীসেনা ছুটিয়া চলিল।
যুদ্ধের উপক্রম বুঝিয়াই সিরাজদ্দৌলা মসিয় লাকে রাজমহলের পথে মুরশিদাবাদে উপনীত হইবার জন্য সংবাদ পাঠাইয়াছিলেন। রাজা রামনারায়ণ অর্থাদি প্রদান করিতে বিলম্ব করায় মসিয় লা সংবাদ পাইবামাত্র যুদ্ধযাত্রা করিতে পারেন নাই।[৩] তিনি যখন সসৈন্যে ভাগলপুরের নিকটবর্ত্তী হইলেন, সিরাজদ্দৌলা তখন মহানন্দাস্রোত অতিক্রম করিতেছিলেন!
সিরাজদ্দৌলা মহানন্দাস্রোত অতিক্রম করিয়া কালিন্দীর জলপ্রবাহ উত্তীর্ণ হইতেছিলেন,—তাঁহার নৌকা যখন বখ রা বুরহাল নামক পুরাতন পল্লীর নিকটবর্ত্তী হইল, তখন সহসা তাঁহার গতিরোধ হইল। নাজিরপুরের মোহনা অতিক্রম করিতে পারিলেই বড় গঙ্গায় প্রবেশ করা যাইত, কিন্তু জলাভাবে নাজিরপুরের মোহানা শুষ্কপ্রায়;—আর নৌকা চলিল না।[৪]