পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se বাজপুরুষদিগের এই দমননীতির পরিণাম কিরূপ বিষময় হইয়া উঠিল-- ইহার ফলে এনাকিজম্ কিরূপ দেশবিস্তুতি লাভ করিল, ইতিহাস তাঙ্গার ব্যাখ্য করিবে । চতুর্থ পরিচ্ছেদ রাজ-ম্যানেজার শুiামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা অণুভার বিবাহ - অগ্রহায়ণের দ্বিতীয় সপ্তাহে | # রাজা অতুলেশ্বর এই বিবাহ উপলক্ষ্যে কনফারেগের দুই চারি দিন পরেই শেষ কাঞ্জিকে সদলবলে কলিকাতায় আগমন করিয়াছেন । কন্য। জ্যোতিস্মল্পীও তfষ্ট র সঙ্গে আসিয়াছেন । অনেক দিন পরে, রাজসমাগমে মাণিকতলাপাসাদ জনাকীর্ণ সস্থলশোভা ধারণ করিয়াছে । রাজকুমারী আসিয়াছেন শুনিয়া হাসি যথাসত্বল এক দিন তাহার সৃষ্টি ত দেথা করিতে আসিল । র্তাহীদের প্রথম দৰ্শন প্রণয়িষুগলেরই মত ; আধোবাধে আনন্দের ভাবে তাঙ্গ বা পরম্পরকে চাহিয়া দেগিলেন । অণুগু তাহীদের এই মৌন-মিলন গুণন্তমুখরিত করিয়! তুলিল । হাসি-গানে, সরস গল্পে পুৰ্ব্বত্ব হইতে অপরাইবেল যেন চকিতে কাটিয়া গেল। জ্যোতিষ্মীর পালসুলভ চপলত আজ সথীদের সহবাসে অবাধ মোতে উৎসারিত হইয়া উঠিয়াছিল। মাস অগ্রচারণ, btfরটা বাজিতে না বাঞ্জিতে রৌদ্রের আভা নিস্তেজ হুইয়া পড়িল, দিনের আলো সয়l?-ধান হষ্টয় আসিল । অণুত বলিল, “চল, ভাই রাণি, দিদি, আমরা নৌকায় বেড়িয়ে আসি ।” হাসি এই প্রস্তাবে খুবই খুশী হইরা উঠিল । তিন সখীতে তাড়াতাড়ি সন্ধ্য-বেশভূষা সাবিয়া লইয়া, ঘরের বাহিরে বাবানায় অtসিয়া দাড়াইমছেন, এমন সময়ে অনাদি অমিয়া হাজির হইল । রাজকুমারী আলাদের স্তরে বলিলেন, “এই যে অনাদি-দ; ! কি মনে ক’য়ে ? তা বশ বেশ ; তুমিও চল ভাই আমাদের সঙ্গে, আমরা কিল্লর হ্রদে নৌকাভ্রমণে চলেছি ।” অণুভ বলিল, “ঙ্গ, নৌকাডুবি হ'লে আমাদের তা হ’লে আর ভয়-ভাবনা কোন কারণ থাকবে না । জান. ভাই হাসি, ইনিষ্ট আমাদের সেই

  • স্বপ্নবাণী দেখ ।

স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী কুমার অনাদি-দা, যার সঙ্গে সে দিন তোমার অ{লাপ করিয়ে দিতে পারি নি ব’লে মনে আক্ষেপ রয়ে গেছে। ইনি আমাদের - হাসি দিদি, বুঝলে, অনাদি দt y" “বুঝেছি, ঠাকরুণ! তোমার আর অত ক’রে পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার নেই ।” অনাদি সহস্তে এই কথা অণুভাকে বলিয়া অতঃপর হাস্তজনক গম্ভীরভাবে হাদির দিকে চাহিয়া কহিল, “দেখুন হাসি দিদি, কুমারটুমার আমি নই ; অত বড় হুম্রো চুমুরো লোক আমাকে ঠাওরাবেন ন, আমি সামান্ত অনাদি, বুঝলেন ত ?” অনাদির এই অসঙ্কোচ আত্মীয়তাপূর্ণ আত্মপরিচয়দান হাসির খুবই ভাল লাগিল । বক্তার বাক্যের সহিত চেহারারও সে মিল দেখিল । অনাদির বর্ণ উজ্জ্বল গেীর, অথচ প্রখরতাহীন স্নিগ্ধ কোমল এবং তরুণ মুখশ্ৰী উগ্রতালেশশুষ্ঠ সরলমাধুর্য্যে মণ্ডিত । প্রশস্ত ললাট বলিতে যাহা বুঝায়, অনাদির কপালে বিধাতা সে কপাল আঁকেন নাই । তথাপি সে নিতান্ত ক্ষুদ্র-ভালও নহে। অধিকন্তু কপালমূলে কাৰ্য্যকারণবোধক ঢিবি দুইটা উচু হইয়া উঠিয় তাহার মুখখানি বুদ্ধিশ্রীলূক্ত করিয়া তুলিয়াছে । চুলগুলি হ'লফ্যাসানে, সাঁথির দুই পাশ হইতে তুলিয়া আঁচড়ান, –কিন্তু তৈলসিক্ত সযত্ন পারিপাট্যের অভাবে তাহ মাথার উপর ঠিক আঁটিয়া বসে নাই, তাহার কতকগুলা দিগভ্রষ্টভাবে এদিকে ওদিকে সরিয়া পড়িয়াছে। হাসিব ভাই শচীনও এইরূপ করিয়া চুল আঁচড়ায় কিন্তু এ জন্ত বোনটির নিকট হস্ত-বিদ্রুপের বদলে কোন দিন একটা প্রশংসাবাক্য লাভ করে নাই । আiজ কিন্তু অনাদির মাথায় এ ফ্যাসনটা হাসির নেহাৎ অপছন্দ হইল না । অনাদির নাসিকা ও তীক্ষতাবিহীন, ইহা নিতান্ত খাট ন হইলেও আদপেই কবির উপমেয়ে শুকচষ্ণুতুল্য সুদীর্ঘ নহে। মুথের মধ্যে সেরা তাহার চক্ষু, প্রকৃতই সে পদ্মপলাশলোচন এবং কমলপাপড়ি দুইটার মত সৰ্ব্বদাই তাহ যেন হাসিতেছে। এ সম্বন্ধে সে হাসির ঠিক জুড়িদার । অনাদি যদিও রাজার খুব নিকট সম্পৰ্কীয় আত্মীয় নহে, তাহার পিতার বৈমাত্রেয় ভাগিনেয়ী পুত্র,— তথাপি মোটের উপর প্রসাদপুর রাজ-বংশের একটা আদর্শ ছাপ তাহার সমস্ত মূৰ্ত্তিতেই স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। এমন কি রাজার এই দূরসম্পৰ্কীয় पञांग्रैौब्रफ़िएक हठ९ छैांशंब्र विडौब्र नश्इब्रुर्ण रुणिब्राँ