বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* মিলন-রাত্রি কুন্দবালাকে সঙ্গে অনিতে বলেন । যে ট্রাঙ্কের মধ্যে কুন্দ তাহ আনিয়াছিল, আজ সেটা খুলিয়া দেখিল —মীলার মখমল কেসটি যথাস্থানে আছে, কিন্তু তন্মধ্যে জিনিষটি নাই। অথচ ট্রাস্কের চব স্কল ঠিক বন্ধই ছিল, চোর-যাদুকর তালা-চাবি, কল-কঙ্গণ ন। ভাঙ্গিয়াই জিনিষটি হস্তগত করিয়াছে, এ কি ইন্দ্রজাল! ভয়ে কুন্দবালার প্রাণ উড়িয়া গেল । এই সংবাদ জানাইতেই কিছু পূৰ্ব্বে সে রাজকন্তর নিকট গিয়াছিল। জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর সজ্জাগৃহের পাশেই তাহার অলঙ্কার-বঙ্গুদি রক্ষার ঘর। হাসিকে বিদায় দিরা তিনি সেই ঘরে আসিয়া দেখি লেন,—লৌহ-সিন্দুকের দরজা খোল,—তাহার নিকটে নীচে কাপেটের উপর বসিয়া, সম্মুথে গহনার বাক্স রাথিয়া, গহনাগুলা কুন্দ নাড়াচাড়া করিয়া দেখিতেছে । দাসী-বাদি অ1র কাহাকেও সেখানে না দেখিয়া রাজকুমারী বুঝিলেন, কুন্দ বালার এ অতিরিক্ত সাবধানতা ! মনে মনে ইহাতে তিনি একটু হাসিলেন এবং কুন্দ তাহাকে দেখিবার অগ্ৰেই তাহার নিকটে আসিয়া বসিয়া— গহনাগুলার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন,— “মালাছড়া কি পেলেন, কুনদি ?” কুন্দ সচকিতভাবে মুখ তুলিয়া তাহার দিকে বিষঃ নয়নে চাহিয়া উত্তর করিল,—“না, পাওয়া গেল "ן וב “আপনি ভুলে খালি ‘কেস’টাই ট্রাঙ্কে পোরেন নি ত ?” "নী রাজকন্তl, না । আল তা হ'লে ত এই গহনাগুলার মধ্যেই সে ছড়াটাও থাকত,– তাও ত নেই। কিন্তু আমি ঠিক জানি, আমি ভুল করি নি । গহনার বাক্সট রঘুবীরের জিন্ময় দেবার সময় মতির মালাছড়াও কেসে পূরে—আলাদা এই ট্রাঙ্কের মধ্যে রাখি। আজ রঘুবীর যখন বাক্সটা দিলে, তখন ভাবলুম্—মালাছড়াও এই সঙ্গে সিন্দুকে তুলে ফেলি ; ও মা, ট্রাঙ্ক খুলে দেখি, কেসের মধ্যে মালা নেই অথচ ট্রাঙ্কটা ঠিক বন্ধই ছিল।” “আশ্চর্য্য ব্যাপার । আচ্ছা, কুন্দদি, কাপড় গোছা বার সময় জিনিষটা চুর যায়নি ত?” কুন্দেরও সেই সম্ভাবন মনে উদিত হুইয়াছিল। কিন্তু গোপন রহস্তজালে জড়িত হইয়া এ কথা প্রকাশ করিতেও তাহার সাহস হুইতেছিল না। রাজকুমারীর উত্তরে সে একটু থতমত খাইয়া থামিয়া থামিয়া কছিল,—“আশ্চর্য্য কি, হ’তেও পারে।” রাজকুমারী কহিলেন, —“অ1চ্ছ, আপনি যখন

বাক্স গোছাচ্ছিলেন, সেখানে তথন আর কে কে ছিল —বলুন ত?” কুন্দ শুষ্ককণ্ঠে উত্তর করিল,—“শশী দাসী ত ছিলষ্ট, আর— আর,—হাt—ষ্ট্য, নতুন ঝিও ছিল ।” “নতুন বি কে ? জগর মা ?” “হ্যা হ্যা সেই,—আfর কেউ ছিল ব'লে ত মনে পড়ছে না ।” “শশী আর জগর ম| শশী ত খুবই বিশ্বাসী দাসী, একটি পিন্‌ও মাটীতে কুড়িয়ে পেলে সে তুলে রাখে । জগর মা একটু হ্যাক ধরণের লোক বটে,— তবে চোর ব’লে ত তা’কে মনে হয় না । তবু একবার তাকে ডাকৃতে বলুন ত ” मळून शि श्रांमग्न। ब्रांछकूगांबौष्क छूभि8 ७१Iभ করিয়া কহিল,--“ডাকৃতেছেন ? বেন গেী মা,--- মুই পাশের ঘরে কাজ করতে নেগেছিমু,—সইম! যেতে বল্লে,—তাই চ’লে গেছন্থ ।" সে কথা কহিলেই রাজকুমারী হাসেন । আজি এখন হাটি চাপিয়া গম্ভীরভাবে কহিলেন, — “কলকাতায় আসবার সময় এই বাক্সের মধ্যে একগাছি মতির মালা তোলা হয়েছিল, মনে আছে ত ?” “মতির মালা ! সে কি হেন দব্যি ? কই, মুই ত, মা চক্ষেও দেহি নি !" কুন্দ বলিরা উঠিল,—মিথ্যাবাদী মাগী, দেথিস নি বলছিস্ ? আমার হাতের দিকে ভাল ক’রে চেয়ে দেখ । এই জিনিষটা তুষ্ট-ই ট্রাঙ্কে পুরেছিলি, -- শশী তখন অন্ত কি কাজে বাহিরে গিয়েছিল, তুই তথন একলা আমার কাছে ছিলি ৷” কুন্দ চণতের মখমল কেসটি তাহীকে দেখাইল । জগর মা বলিল,-- এই অপূৰ্ব্ব দ্রব্য ! এটিরে সেদিনে দেহুেছি ত এনারেই আপনারা ক ও মতির মালা ?” কুন্দ রাগিয়া বলিল,—“গুণকাfম দেখ, নিশ্চয়ই তবে তুই নিয়েছিস্ ।” রাজকুমারী আর হস্তসংবরণ করিতে পরিলেম না, উচ্চহাস্তে কহিলেন,—“না ‘ওনাট’ মতির মালা নয়,— ওরষ্ঠ মধ্যে দ্রাব্য’টা ছিল।” “মুই সে সব জানিলাম না বাপু—মুঠকার জিনিষপত্তর যেনুটা যেখায় রইছে—দেহি–ল ৪।” ফ্রশান ভাণে নাকিস্তরে সে এই কথা বলিল । আসল কথা—রাজকন্তার হাসিতে তাহার কাল্লাট জমিতেছিল না । কুন্দ ব’লল --"ও সব মারাকান্না রাখ, কারে