বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 স্বর্ণকুমার দেবীর গ্রন্থাবলী কম—তথাপি জেদের দোহাই অমত করিতে পারতেছিলেন না --- কিন্তু তহবিলের ।কৰি এ দায়ে অবশেষে মনের পরা প্রবৃত্তিটাকেও আপাতত: কোণঠাসা করিয় রাথিতে বাধ্য গুইয়াছেন । “মোকৰ্দ্দম কর। আমনি সে জ! কথা কি না ? রেস্ত ত চাই । ব্য। রিষ্টারদের মত স্থাতেই অনর্থক BB BBBS SSBBB S AAAAAASSS0SSSSBB K BBBBBS পাশটাশ একটা ও ত দিতে পালিনে। গের উপরে যে এতটুকু আশাভরসা বঁ।ধব । তার ও ত উপায় સifત્રમ ત્રિ " বিজন রায় চুপ করিয়া পঠিল । পিতা বলিতে লাগিলেন, “এখন একটি মাত্র উপায় অtছে--এই বৈতরণী পার হল ।র একপানি ছিঙ্গি চোখের সামনে দেথতে পাচ্ছি বাঙ্গতে পারিস্ যদি, তবেই কূলে উঠতে পালি,—প বৃদি কি না বল * “আঙ্গে বলুন, সে উপায়টা কি ? তার পর বুঝব-পার্ব কি না।” "অনেকবার ত বলেছি - যদি প্রসাদপুরের ধর্কট কোন রকমে দখল করতে পারিস্ তবে রায়-রাজ্য তোর হস্তগত হবে --নিশ্চয়ই ; পঞ্চলি ত ?” এ সম্বন্ধে বিজনকুমার আবাল্য অনেক কথাই শুনিতেছে । এই ধনুক-বামুকির মাথার উপর যে রায়-রাজ্যের স্থাপনা— ইহাকে ঘরে আনিতে পারিলে জজের যে ত{হাদে1 দ্যায্য অধিকাব গ্রাহ কfরবেন –এই সংস্কার তাহারও মনে বিশ্বাসরূপে বদ্ধমূল হইয়াছে। পিতার কথার উত্তরে পুত্ৰ কহিল,--“আঞ্জে বুঝেছি ।”

  • বুঝেছি বলেষ্ট ত হবে না, পারবি কি না ।” “অজ্ঞে পণপূব ” “আঞ্জে পাব । অমন বাজে কথা আমি শুনতে চাইনে,—কি ক’রে পারবি, তাই বল ।”

“রাজ-দপ্তবে আমার এক জন অন্তরঙ্গ বন্ধু আছে, সে আমার জন্ত সব কায করতে পারে।” সুজন রায়ের চক্ষ লোভে প্ৰলিয়া উঠিল । তিনি চামুণ্ডাদেবীর বলিদানে শত মুদ্র মনিং করিয়াছিলেন- মনে মনে আরও একশত বাড়াইয়া দিয়া এতক্ষণ পরে সন্নভাবে বলিলেন- "আচ্ছা বেশ, তবে তাকে দিয়ে কার্য্যোদ্ধার কল্প * “কিন্তু খাওয়াতে হবে কিছু তাকে ?” স্বজন রায় ধনুখনে গসি হাসিয়া বলিলেন, -- * श्रख्द्रल तथूहे वtछे !” "যে বন্ধু আমাকে খাতির করে, আমারও ত তার খাতির রাগ চাই, এক তরফ বন্ধুত্ব ত আর জগতে মেলে না ।" “বেশ, কি দিতে হবে বল ? এ সংসারে আগে থাকৃতে বিশ্বাস কাউকেই কতে নেই। অতিরিক্ত বিশ্বাসের ফল হতে হাতে পেয়েছি । তবে যদি কীযটা হাসিল ক’রে দেয়, তখন তাকে তাঁর আশ মিটিয়েই খাওয়াব, এইটে বেশ ক’রে বুঝিয়ে বলবি বুঝলি ত ” 娜 “না, তেমন বেশী কিছু দিতে হবে না, তাদের একটা সভাসমিতি আছে, তাতে অল্পবিস্তর কিছু দিলেই চলবে ।” “তবু আঁচটা কি তার ?” “এই শ পাচেক ৷” “বাস রে” বলিয়া স্বজন রায উঠিয়া দাড়াইলেন কিন্তু তবুও ত ধমুকের অাশা ত্যাগ করা ধায় না ; পকেট হইতে দশ টাকাব নোট দশ থানা বাহির করিয়া পুত্রের হস্তে দিয়া বলিলেন “এই নাও বাপু, চামুণ্ডার এ মানৎ অর্থ তোমাকেট দিলাম, এ টাকা বায়ন স্বরূপ দিয়ে এখন তাকে প্রসন্ন কর, বুঝলে ত ? তার পর ধনুক ট। এনে যে দিন সে হাজির কবৃবে, সেই দিন থেকে সভা-সমিতির জন্য তার আর কোন ভাবনাই থাকৃবে না।” বিজনকুমাব অতঃপর আর কোন কথাই না কহিয় তাহাই পকেটে পুরিয়া বিদায় গ্রহণ করিল। সকালবেল সে দিন আর তাহার কলিকাত যাত্র হইল না। এ কার্যটা ত আগে করা চাই। কিন্তু আজ ত মাতৃ-মন্দিরে মিলনের দিন নহে, সন্তোষের সহিত দেখা হইবার উপায় কি ? নিজে রাজবাড়ীতে যাইতে পারে না, চাকরের দ্বারা চিঠি পাঠান ঠিক নহে, লোকের মনে তাহাতে সন্দেহ জন্মিতে পারে । আর যদি সন্তোষের সঙ্গে দেখা করিবার জন্য আরও ৫ই দিন অপেক্ষা করিতে হয়, তাহা হইলে ঠিক সময়ে শনিবার সে কলিকাতায় পৌছিতে পরিবে কি না সন্দেহ, অথচ আগামী দিনের জমকালো রেসটার জন্য অনেক দিন হইতে সে প্রতীক্ষায় আছে ! "কি বিপদ ” এই বলিয়া সে ঘরে গিয়াই টাইম-টেবিল দেখিতে বসিল । কিছুক্ষণ পরে জুতার শব্দ পাইয়া সে দ্বারদেশে দৃষ্টিপাত করিল। এ কি, এক জন সেবাধারীকে সঙ্গে লইয়া সন্তোষ যে স্বয়ং এখানে উপস্থিত । বিজনকুমার হালো’ নাদে সোল্লাসে উঠিম দাড়াইল। কিছুক্ষণ পবপরে আলাদস্থচক বাক্যবিনিময় চলিল, তাহার পর তিন জনই কেদারা