বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՀ উভয়ের এই মৰ্ম্মভেদী সম্মিলিত প্রার্থনায় ভগবান যদি তাহীদের প্রতি দয়। বর্ষণ না করেন- তবে তাহার —দয়াময় নামের সার্থকতা কোথায় ? গানটি শেষ করিয় রাজা শুনিপুরা রাখিয়া দিলেন, কন্তীও অবনত মস্তক উন্নত করিয়া পিতার দিকে দৃষ্টিপাত করিল । জ্যোতিৰ্ম্ময়ার অন্তরের বেদনা, তাহার অাননে কি ?:গ{ড় কলিমাচ্ছায়। প্রকটিত করিয়াছিল । রাজকন্ত ভাবিতেছিলেন, তিনিই প্রকৃতপক্ষে পিতার এই দুঃখ-কষ্টের মূল কারণ,—তাহার জন্তই পিতার এই লাঞ্ছন- ‘ অপমান—কষ্টভোগ । রাজা ভাবিতেছিলেন, নিজের সব কষ্ট তিনি সহিতে পারেন কি ? তহীর মাতfক স্তীর কষ্ট যে BSBB BBB BBB S S B BBS SB BBB BBB সত্ত্বনা দান করিলেন, তিনি তাই খুজিয়া পাইলেন না ! তানপুরাণ খাবার হাতে লষ্টয়া কল্প কে বলিলেন --“আজই অ।মি এষ্ট গানটি রচনা করেছি --cનાન ક્ષત્રિ, સાબિ–" রাণী নীরব হইয়া লাগিলেন— রঙ্গিল –তিনি গাহিতে ওহে প্ৰভু নিষ্ঠুব রাজন্, যাহা কিছু ছিল মোর মশার রতনপুণ্যপ্রতি আশা, ধ্রুপ, উমল বসন। শুশু, সব ও পুজার তব করেছি আপথ ! পারিনি পারিনি শুধু উপাড়িয়া দিতে, ব্যথার শৈবাল যেটি টেছিল চিeে, একটু ৩ ভাণে নয়, মলিন পঙ্কিলময় – কাজে ভয়ে করেছি? তাই সঙ্গোপন । ষ্টে'নেছ ত অগুর্য্যামী রাজা । তারি তরে এত দ গু এ দারুণ সঙ্গ । লও তবে তা ও লুও, হে রুদ্র প্রসন্ন হল, আপন নিঃশেযে করি আত্মনিবেদন । অনাদির সহিত শঙ্কিত, সন্তপিত নি:শবচরণে কৃষ্ণলাল যখন কস্তাকে লইয়া ভজনস্থলে আসিয়া দাড়াইলেন, তখন রাজা গানটি একবার শেষ করিয়া শেষ কলিটি ঘুরাইয়া ফিবাইৰ বার বার করিয়৷ গাহিতেছিলেন— লও তবে সর্ণ লও, হে সুন্দ্র প্রসন্ন হও, নিঃশেষে চরণে করি আত্মনিবেদন । ইহাদের উভয়কেই মুস্থ শরীরে দেখিয়া হাসি অনেকটা আরাম বোধ করিল। কৃষ্ণলাল ও অনাদি স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী মছলন্দের শেষ দিকে বসিলেন—হাসি রাজকদ্যার কাছ সেদিয়া বসিল । রাজা গান শেয করিয়া চোখ খুলিতেই হাসির প্রতি তাহার নজর পড়িল— তানপুরাটা তিনি নামাইয়া রাখিলেন, একটা শোকনীরবতায় সহসা যেন গৃহ পুর্ণ হইয়া উঠিল । একটু পরে কৃষ্ণলালের দিকে চাছিয়া রাজা বলিলেন, "কখন এলেন আপনার ?” “હફે– ફે હશનિ ” “পবর শুনেছেন ?” "শুনেছি ।” 经 হাসি রাজকন্যার দিকে চাহিয়া মৃদুকণ্ঠে বলিল, কি খবর? আমি ত কিছু জানিনে।” রাজা তাহার দিকে দৃষ্টি ফিরাইয়া বলিলেন, "জান না হাসি ? আমি আর রাজা নই!” রাজা কি ঠাট্টা করিতেছেন না কি ? কিন্তু ইহ। ত ব্যঙ্গের স্বর নহে, হাসির বিস্ময়-কাতর দৃষ্টি নীরবে রাজাকে সে প্রশ্ন করিল—তাঁহার উত্তর-স্বরূপ তিনি কহিলেন, “এত দিন ছিলাম বটে রাজা, এখন সত্যই ভিখারীর চেয়ে ও দীনহীন আমি । ভিখারীরও যে অধিকার-যে স্বাধীনতা আছে, তাও নেই আমার --অামি বর্ণী " এ কথার অর্থ হাসির হৃদয়ঙ্গম হইল না—কিন্তু অর্থ ন বুঝিয়াও তাছার নয়ন অশ্রুপুর্ণ হইয়া উঠিল। রাজী কস্তাকে বলিলেন, “তুমি হাসিকে সব কথা খুলে বল-রাণি ” বলিয়াই রাজ উঠিয়া দাড়াইয়৷ কৃষ্ণলালকে বলিলেন, “৪ ঘরে যাবেন---মুখুয্যেমশাই ? আiপনার সঙ্গে একটু কথা আছে।” রাজা কৃষ্ণলালকে সঙ্গে লইয়া পাশের ঘরে গিয়া বসিলেন, অনাদিও প্রসাদপুরে ধাইবার বন্দোবস্ত করিতে চলিয়া গেল - শুীমাচরণ রাজাদেশে অদ্য কাধে গিয়াছিলেন । সকলে চলিয়া গেলে—হাসি অধীরভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে, রাজকুমারি †” রাজকন্ত ধীরকণ্ঠে উত্তর করিলেন,“বাব বিদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন । পুলিস তাকে গ্রেপ্তার ক’রে নিয়ে যেতে এসেছে ।” “সত্যই তবে রাজ বাহাদুর বন্দী ?” অব্যক্ত যন্ত্রণায় হাসির বাকুরোধ হইয়া গেল । সেদিনকার কথায় হাসি রাজার মনে কিরূপ কষ্ট দিয়াছে, আজ তাছ সে বুঝিল, এত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও রাজ তাই প্রচ্ছন্ন ব্যঙ্গে সেই কথারই উল্লেখ করিলেন । হাসি রাজকণ্ঠার কোলে মুখ লুকাইয়৷ কঁাদিতে কাদিতে কাতর প্রার্থনায় মনে মনে কহিল,