পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত বিশেষ ঋণী, কারণ, ভারতে আজ যে সকল শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে, তাহাদের অধিকাংশেরই মূল দাক্ষিণাত্য । । শ্ৰেষ্ঠ ভাষ্যকারগণ, যুগপ্রবর্তনকারী আচার্যগণ, যথা— শঙ্কর, রামানুজ ও মধ্ব, (১) ইহারা সকলেই দাক্ষিণাত্যে । জন্মিয়াছিলেন। যে মহাত্মা শঙ্করের, নিকট জগতের প্রত্যেক অদ্বৈতবাদীই অমোচ্য ঋণজালে আবদ্ধ ; যে মহাত্মা রামানুজের, স্বৰ্গীয় স্পর্শ, পদদলিত পারিয়াগণকেও আলওয়ারে (২) পরিণত করিয়াছিল ; সমগ্র ভারতে শক্তিসঞ্চারকারী আর্যাবর্তের সেই একমাত্র মহাপুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের অনুবর্তিগণও যে মহাত্মা মধের শিষ্যত্ব দাক্ষিণাত্য । বৰ্ত্তমানকালেও বারাণসীধামের শ্রেষ্ঠ গৌরবস্বরূপ মন্দিরসমূহে দাক্ষিণাত্যবাসীরই প্রাধান্ত, তোমাদের ত্যাগই হিমালয়ের সুদূরবর্তী চূড়াস্থিত পবিত্র দেবালয় (১) রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ও বেদান্তদর্শনের উপর ঐ মতসঙ্গত ব্যাখ্যাযুক্ত শ্ৰীভায্যের রচয়িত। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ মতে চিৎ (জীব) অচিৎ (জড় ) ও তাহদের অন্তৰ্য্যামী ঈশ্বর এই তিন তত্ত্ব আছে। মধবাচাৰ্য্য দ্বৈতবাদের প্রতিষ্ঠাতা। (২) দক্ষিণাত্যের চণ্ডালতুল্য অস্পৃশু নীচ জাতিবিশেষকে পারিয়া বলে। আলওয়ার শব্দের অর্থ ভক্ত। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী ভক্তগণকে আলওয়ার বলে ।