বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত নাস্তিক বা আজ্ঞেয়বাদী হইবার জন্য নিগৃহীত হইয়াছেন, যতদিন তিনি সামাজিক নিয়ম মানিয়া চলিয়াছেন ? সামাজিক নিয়মভঙ্গাপরাধে সমাজ যে কোন বাক্তিকে শাসন করিতে পারেন, কিন্তু কোন ব্যক্তি, এমন কি, অতি নীচ পতিত পৰ্য্যন্ত কখন হিন্দুধৰ্ম্মমতে মুক্তির অনধিকারী নহে। এই দুইটি একসঙ্গে মিশাইয়া গোল করিও না । ইহার উদাহরণ দেখ । মালাবারে একজন চণ্ডালকে, একজন উচ্চবর্ণের লোকের সঙ্গে এক রাস্তায় চলিতে দেওয়া হয় না, কিন্তু সে মুসলমান বা খ্ৰীশ্চিয়ান হইলে তাহাকে অবাধে সৰ্ব্বত্র যাইতে দেওয়া হয়, আর এই নিয়ম একজন হিন্দুরাজার রাজ্যে কত শতাব্দী ধরিয়া রহিয়াছে। ইহা একটু অদ্ভুত রকমের বোধ হইতে পারে, কিন্তু অতিশয় প্রতিকূল অবস্থার ভিতরও অপরাপর ধৰ্ম্মের প্রতি হিন্দুধৰ্ম্মের সহানুভূতির ভাব ইহাতে প্রকাশ করিতেছে । হিন্দুধৰ্ম্ম এই এক বিষয়ে জগতের অন্যান্য ধৰ্ম্ম হইতে পৃথক, এই এক ভাব প্রকাশ করিতে সাধুগণ সংস্কৃতভাষার সমুদয় শব্দরাশি প্রায় নিঃশেষিত করিয়াছেন যে, মানুষকে এই জীবনেই ব্রহ্ম উপলব্ধি করিতে হইবে আর অদ্বৈতবাদ আর একটু অগ্রসর হইয়া বলেন ૨૭ -