SS8 কাব্যের উপেক্ষিতা করিয়াছিলেন। সে-কথা কাব্যে লেখা হইল না। সীতার অশ্রািজলে উর্ম্মিলা একেবারে মুছিয়া গেল। লক্ষ্মণ ত বারো বৎসর ধরিয়া তাহার উপাস্য প্রিয়জনের প্রিয়কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন-নারী-জীবনের সেই বারোটি শ্রেষ্ঠ বৎসর উর্ম্মিলার কেমন করিয়া কাটিয়াছিল? সলজ্জা নবপ্রেমে আমোদিত বিকাসোমুখি হৃদয়মুকুলটি লইয়া স্বামীর সহিত যখন প্রথমতম মধুরতম পরিচয়ের আরম্ভসময় সেই মুহূর্ত্তে লক্ষ্মণ সীতাদেবীর রক্তচরণক্ষেপের প্রতি নত দৃষ্টি রাখিয়া বনে গমন করিলেন-যখন ফিরিলেন তখন নববধূর সুচির প্রণয়ালোকবঞ্চিত হৃদয়ে আর কি সেই নবীনতা ছিল? পাছে সীতার সহিত উর্ম্মিলার পরম দুঃখ কেহ তুলনা করে, তাই কি কবি সীতার স্বৰ্গমন্দির হইতে এই শোকোজ্জলা মহাদুঃখিনীকে একেবারে বাহির করিয়া দিয়াছেন-জানকীর পাদপীঠপার্থেও বসাইতে সাহস করেন নাই? সংস্কৃত কাব্যের আর দুইটি তপস্বিনী আমাদের চিত্তক্ষেত্রে তপোবন রচনা করিয়া বাস করিতেছে। প্রিয়ংবদা আর অনসুয়া। তাহারা ভর্তুগৃহগামিনী শকুন্তলাকে বিদায় দিয়া পথের মধ্য হইতে কঁাদিতে কঁাদিতে ফিরিয়া আসিল, নাটকের মধ্যে আর প্রবেশ করিল না, একেবারে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। জানি, কাব্যের মধ্যে সকলের সমান অধিকার থাকিতে পারে। না। কঠিন হৃদয় কবি তাহার নায়ক-নায়িকার জন্য কত অক্ষয়৷ প্রতিমা গড়িয়া গড়িয়া নির্ম্মমচিত্তে বিসর্জন দেন। কিন্তু তিনি যেখানে যাহাকে কাব্যের প্রয়োজন বুবিয়া নিঃশেষ করিয়া ফেলেন। সেইখানে কি তাহার সম্পূর্ণ শেষ হয়? দীপ্তরোষ ঋষিশিষ্যদ্বয়,