226 জাতীয় শিক্ষায় স্যার গুরুদাস। রূপে এই সমস্তই স্যার গুরুদাসের গোচরে আসিত। কিন্তু তিনি তাহাতে দৃকপাত করিতেন না। তিনি বলিতেন। আমাদের দেশের বালক ও যুবকবৃন্দকে আমাদের মতানুযায়ী শিক্ষা দিব। ইহাতে কাহারও বাধা দিবার অধিকার নাই এবং কাহারও বাধা মানিতে আমরা বাধ্য। নই। বর্ম্মাবৃত শরীরে যেমন বর্শা প্রবেশ করিতে পারে না, স্যার গুরুদাস কর্তৃক অভিগুপ্ত শিক্ষা পরিষদকে ও সেইরূপ আমলা তন্ত্রের তীব্র বাণ সম্পর্শ করিতে পারে নাই। আমার স্মরণ আছে একবার রাজপুরুষেরা কৈফিয়ৎ চাহিলেন যে ইতিহাসের প্রশ্ন পত্রে এইরূপ প্রশ্ন কেন করা হইল যে আকবরের প্রধান মন্ত্রী, প্রধান সেনাপতি ও প্রধান অর্থ সচিব কে কে ছিলেন এবং বর্তমান আমলেই বা কে কে আছেন? ইহার উত্তরে অবশুই প্রতিপন্ন হইত যে, মোগল বাদাসাহের আমলে এই সকল দায়িত্বের পদে হিন্দু কর্ম্মচারীগণ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু এ আমলে তাহার বিপরীত। এই কৈফিয়তের স্যার গুরুদাস যে জবাব দিয়াছিলেন তাহাতে প্রশ্নকারীর নিশ্চয়ই চক্ষু স্থির হইয়াছিল। ইহার পর ক্রমশঃ রাজ রোষ মন্দীভূত হইল বটে। কিন্তু দেশের মধ্যে জাতীয় শিক্ষার জন্য উৎসাহের বেগও স্তিমিত হইয়া গেল। অনেকেই নিরুৎসাহ ও হতোদ্বন্তম হইলেন। কেহ কেহ স্পষ্ট পত্র লিখিয়া শিক্ষা পরিষদের সংশ্রব পরিত্যাগ করিলেন। অপারে সম্পূর্ণ উদাসীন হইয়া “মাধ্যস্থ্য” অবলম্বন করিলেন। জাতীয় শিক্ষা পরিষদ উঠিয়া যাইবার সম্ভাবনা হইল। কিন্তু এই অবসাদের দিনেও স্যার গুরুদাস নিরাশ হইলেন না। বরং অধিকতর আগ্রহের সহিত ইহার রক্ষাকল্পে মনোনিবেশ করিলেন। প্রথম হইতেই স্যার গুরুদাস মাসিক LLSqS D DBBt L DD SBD D DTBD DDD SDB