27.4 জীবনের শেষ কয়েক দিবসের কথা। এবং শ্রেষ্ঠ, আপনি আমাকে জলাঞ্জলি দিউন ৷” সেই সময় আমার মনে হইল-হতভাগ্য আমি, আমার উপরেই এই দুর্দশাগ্রস্ত ভারতের একটি উজ্জল মানিকে জলে নিক্ষেপ করিবার ভার অর্পিত হইল? হায় কর্ম্মের কি গহনা গতি। রাত্রি অধিক হইতে লাগিল দেখিয়া গাড়ী প্রস্তুত করিতে অনুমতি দিলেন। আমি বাটী যাইবার উদ্যোগ করিতেছি এমন সময়ে বলিলেন “যেন গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া প্রতিদিন উভয় সন্ধ্যায় আপনার সাক্ষাৎ লাভ করিতে পারি।” পরদিবস পুর্ব্বাহ্নে যাইয়া দেখি তঁহাকে র্তাহার গঙ্গাতীরের বাটতে আনা হইয়াছে। মুখ প্রফুল্ল, চিত্ত উদ্বেগরহিত, সুতরাং শান্ত। আমার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন “গঙ্গার লহরীমালা দেখিয়া এবং স্নিগ্ধ মৃদুমন্দ সমীরণ সেবন করিয়া আমার অভূতপূৰ্ব আনন্দ হইতেছে। এক্ষণে আমার কর্ত্তব্য কি?” আমি উপনিষদের নিম্নলিখিত শ্লোকটী আবৃত্তি করিলাম ভিদ্যতে হৃদয়গ্রন্থি শিহুস্থ্যস্তে সর্বসংশয়াঃ। ক্ষীয়ন্তেচাস্ত কর্ম্মাণি ময়িদৃষ্টেইখিলাত্মনি। শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “ইহার কি কোন পাঠান্তর আছে?” আমি বলিলাম আছে, উপনিষদে “তস্মিন দৃষ্টে পরাবরে’ এইরূপ পাঠ আছে। ‘আপনি ইহা কোথায় পাইলেন?? আমি বলিলামশ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণ উদ্ধবকে বলিয়াছেন। “ওঃ কি সুন্দর। অখিলাত্মনি ময়িদৃষ্ট সতি!” এইরূপ ব্যাখ্যা করিয়া হৃষ্টচিত্তে আমাকে পুনঃ পুনঃ এই মন্ত্রটী উচ্চারণ করিতে বলিতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আপনিও আবৃত্তি করিতেন। তিনি জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিলেন, সমস্ত শাস্ত্র তাহার অধীত ছিল, তবে ‘কেন। তিনি আমার পশ্চাৎ এই মন্ত্রের অনুবৃত্তি করিতেন-~~ এই প্রশ্ন আমার মনে উদিত হইত। রাত্রিকালে একদিবস বাটী