জীবন স্মৃতি। ዓ ዓ. দেন। তিন দিন পরীক্ষা দিয়াই কালীবাবু পীড়িত হন। মোটের উপর সার গুরুদাসের নম্বর আশুবাবুর অপেক্ষা অধিক হওয়াতেও তিনি বৃত্তি পান নাই, কেননা যে কয়টি বিষয়ে তাহার শতকরা চল্লিশের অপেক্ষা কম নম্বর হয়, তাহা একেবারে বাদ দেওয়া হইয়াছিল। আশুবাবুই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রেমচান্দ রায়চাঁদ বৃত্তিধারী। ইতিহাস ও অর্থনীতিতে র্তাহার প্রগাঢ় অধিকার দেখিয়া, পরীক্ষক ( “I'riend of India” পত্রের সম্পাদক জর্জ স্মিথ) বিস্মিত হইয়াছিলেন। এফ.এ, বি-এ, এমএ ও বি-এল উপর্য্যুপরি এই চারিটি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করিবার পর, প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ পরীক্ষায় বিফল হইয়া, সার গুরুদাস গো ধরিলেন যে আর পরীক্ষার জন্য পড়িবেন না। বিদ্যার পরিসর বৃদ্ধি করিতে এখন তিনি বিশেষভাবে মনোযোগী হইলেন। হিন্দু ব্যবস্থাশাস্ত্র শিক্ষাকল্পে তিনি সংস্কৃতশিক্ষায় অভিনিবিষ্ট হইলেন। স্বৰ্গীয় পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন তখন বহরমপুরে ছিলেন। সংস্কৃত বিদ্যার ভিত্তি দৃঢ় করিবার জন্য তঁহার পরামর্শে উপক্রমণিকা ও ঋজু পাঠ হইতে আরম্ভ করিলেন। “দায়ভাগ” “মিতাক্ষরা” প্রভৃতি অধ্যয়নের পূর্বে তিনি রামগতি ন্যায়রত্নের নিকট “রঘুবংশ” “কুমার সম্ভব” “অভিজ্ঞান শকুন্তলা” প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ কাব্যসমূহ পাঠ করিয়াছিলেন। প্রত্যহ দুই ঘণ্টা ংস্কৃত পড়িতেন—এক ঘণ্টা নিজে ও এক ঘণ্টা ন্যায়রত্নের নিকট। ংস্কৃত আলোচনায় তাহার এক সমব্যবসায়ী সহাধ্যায়ী জুটিয়াছিলতাহার নাম জানকীনাথ মুখোপাধ্যায়। জানকীবাবুর সম্বন্ধে সার গুরুদাস এক গল্প বলিয়াছেন। কালিদাস, রাজা দিলীপ ও রাণী সুদক্ষিণার মধ্যস্থলে, বশিষ্ঠের হোমধেনু নন্দিনীর অবস্থানের তুলনা করিয়া বলিয়াছেন, যেন দিবা ও রাত্রির মধ্যস্থলে সন্ধ্যা। জানকী,