ভাগবত—রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী। b-b*@。 অবশু পাইব লীগ ইহার ভিতর। মারিয়া আনিব ঘুড়ী সভার গোচর। এই মতে তথা হইতে কত দিন গেল। দণ্ডীকে রেখেছে ভীম গোবিন্দ শুনিল॥ দণ্ডী রাজা ভীমের শরণ লইয়াছে। ভীমহ শরণ দিয়া তাহারে রেখেছে। যুধিষ্ঠির আদি করি বাক্য না শুনিঞা। রাখিলেন ভীম তারে আশ্বাস করিঞা॥ ত্রিভুবন মধ্যে যত সংসার ভিতর। যতেক বৃত্তান্ত সব জানে গদাধর। জানিয়া সকল তত্ত্ব বলে যদুপতি। বুঝিলাম পাণ্ডবের হইল কুমতি॥ মোর স্থানে অপরাধ করে যেই জন। তাহারে অভয় দিয়া করয়ে রক্ষণ॥ আমি তাহাদিগে অনুগ্রহ করি মনে। বন্ধু হেন আমায় জানহ সর্ব্বজনে॥ এ কারণে মত্ত ভাবে রাখে সভাকারে। অবশু মত্ততা দূর করিব তাহারে। এমত ভাবিয়া কৃষ্ণ সভাতে বসিয়া। প্রত্যুম্ন-কুমারে কৃষ্ণ আনিল ডাকিয়॥ কৃষ্ণ বলে প্রত্যুম্ন পুত্র শুন মোর বাণী। হস্তিনাতে যাহ যুধিষ্ঠির-রাজধানী॥ পাণ্ডবের স্থানে কহ আমার সংবাদ। কেনে চাহে আমা সঙ্গে করিতে বিবাদ॥ পাণ্ডব আমার বন্ধু সর্ব্বদায় জানি। মোর বড় প্রিয় যুধিষ্ঠির নৃপমণি॥ ধনঞ্জয় বীর মোর প্রিয় অতিশয়। কোন দিন পাণ্ডবের সনে অপন্যায় (?)॥ ইহাতে অন্যথা বড় হইবেক জানি। আমার পরম শক্র দণ্ডী নৃপমণি॥ সেই দণ্ডী ভীমের শরণ লইয়াছে। অভয় বচনে ভীম তাহারে রেখেছে।