মিষ্ট বাক্য কৃষ্ণচন্দ্র দ্বিজ প্রতি কয়।
কোথা হৈতে আইলেন দ্বিজ মহাশয়॥
বিপ্র বলে বাস করি বিদর্ভ-নগরে।
পত্র লয়ে আসিয়াছি কৃষ্ণের গোচরে॥
অনুভাবে বুঝি কৃষ্ণ হইবে আপনি।
আসিয়াছি দিতে তোমায় এই পত্রখানি॥
কৃষ্ণ বলে আমি কৃষ্ণ শুনহে ব্রাহ্মণ।
প্রদান করহ পত্র পড়ি বিবরণ॥
শুনিয়া ব্রাহ্মণ কৃষ্ণ-হস্তে পত্র দিল।
রুক্মিণীর পত্র হরি পড়িয়া বুঝিল॥
পাইয়া পবিত্র পত্র কৃষ্ণ পুলকিত।
পয়ার প্রবন্ধে দ্বিজ করিল রচিত॥
কৃষ্ণের বিদর্ভে যাত্রা।
যাইতে বিদর্ভ-রাজ্যে কৃষ্ণ কৃপাবান্।
আজ্ঞা দিলা সারথিরে সাজাতে বিমান॥
শ্রীমুখের আজ্ঞা শুনে দ্বারুক সত্বরে।
যতনে গরুড়-ধ্বজ রথ সজ্জা করে॥
পবন-গমন অশ্ব রথেতে যুড়িল।
গদা খড়্গ ধনু অস্ত্র রথেতে তুলিল।
অপরেতে সুসজ্জিত হয়্যে নারায়ণ।
চক্রোপরি চক্রধারী উঠিলা তখন॥
ব্রাহ্মণে সঙ্গেতে করি যতনে লইল।
রঙ্গেতে ত্রিভঙ্গ শ্যাম বিদর্ভে চলিল॥
দারুক চালায় অশ্ব পবন-সমান।
চকিতে আকাশ-পথে উঠে রথখান॥
দেখিয়া দ্বিজের মনে ত্রাস উপজিল।
হাতে হৈতে জল-পাত্র অমনি পড়িল॥
কান্দিয়া ব্রাহ্মণ বলে হল সর্ব্বনাশ।
লভ্য যাকু পূর্ব্ব ধন হইল বিনাশ॥
কৃষ্ণের নিকটে না মিলিল কড়া কড়ি।
পৈত্রিক বিষয় গেল আসি রড়ারড়ি[১]॥
এত ভাবি কহে দ্বিজ শ্রীকৃষ্ণের প্রতি।
- ↑ দ্রুতগতি।