বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান – খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। Գ:Ֆ কিছু বাক্য সিদ্ধ (১) কর নটর বরাবর। যা ষা হীরা নটী তোক দিলু বর। বগঞ্জুল পার্থী (২) হইয়া থাক রাজ্যর ভিতর॥ মুনি বাক্য বৃথা ন হইল। বগছল রূপ হইয়ে স্বৰ্গত উড়ে গেল। বাম হস্ত দিয়া নটীক ধরিল। নটীক ধরিয়া দুই খান করিল। আগধড় (৩) দিলে স্বৰ্গত উড়াইয়া। পাছধড় দিল দরিয়াত ফেলাইয়া ৷ দরিয়াত পড়িয়া নটী দোহাই ফিরাইল। যা যা নটী তোক দিনু বর। চেকা মাছ (৪) হইয়া থাক জলর ভিতর॥ ষা ষা চাপাই (৫) বান্দী তোক দিলু বর। বেঙ্গ হইয়া থাক রাজ্যর ভিতর॥ যুয়ান কালত খাও কামাই করিয়া। শেষ কালত ধরেক পাইক ভাতার। হুলিয়া গুতিয়া ভাঙ্গিবে তোর বত্রিশ পাজর॥ যা ষা হীরা (৬) ধন কড়ি তোক দিলু বর। খোলা হাটী হইয়া থাক খোলাহাটী সহর। হীরার বাড়ী ঘর লণ্ড ভণ্ড করিয়া। জ্ঞান শিথিবীর রাজাক লই গেল ধরিয়া॥ তোক বলে রাজার বেটা বাক্য মোর ধর। কিছু ভিক্ষা করি আন বন্দরর ভিতর॥ শিষ্য গুরু রান্ধি খাই পরদা সহর। হামিত রাজার বেটা নামে ব্রহ্মচারী। কেমন কৈরে ভিক্ষা করে নির্ণয় না জানি॥ গোট চারিক কথা যখন রাজাক শিখাইল হাতে পাত্র নিয়া গমন করিল। হাড়ী বলে জয়রে বিধি মোর কর্ম্মর ফল। মোর ঘরর চেলা কোনা সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর ৷ রাজার ভিক্ষীয় গমন। (১) শিক্ষা। (২) বুলবুল পার্থী। (৩) দেহের পূর্ব্বাৰ্দ্ধ খণ্ড। (৪) চাদ মাছ। (৫) চাপ। (৬) হীরাব।