চণ্ডীকাব্য—দ্বিজ হরিরাম—১৬শ শতাব্দী। N)ක তৈলকারী তৈল বেচে হইয়া আনন্দ। তৈলকারী। নানা জাতি বস্ত্র সব বুনএ কুবিন (১)। স্বত্রধরুমোদক বসিল দিয়া সারি। স্বত্রধর, মোদক, বারুই, বেচা কেনা করে লোক করিয়া চাতুরী। কর্ম্মকার, নাপিত বারুই বসিয়া তারা বরোজ (২) করয়। প্রভৃতি। কলিঙ্গ হইতে পাণ আনিয়া রোপয়॥ কর্ম্মকার বসি অস্ত্র করএ গঠন। কিন্ত লয় নগরের অস্ত্রধারিগণ॥ কুলাল ফিরায়া চক্র গড়ে হাড়ী শরা। ঘরে হাটে নগরেতে করএ পসরা॥ নগরে নাপিত বসি ক্ষৌরকম্ম করে। পাচ গণ্ডা দর কড়ি পায় প্রতি ঘরে॥ ভট্ট (৩) মাগধ (৪) আস্তে জাবিঞা করিতে হডডপ (৫) চণ্ডালগণ বস্তে এক ভিতে। ভিক্ষাহেতু ভিক্ষুক বসিলা এক স্থানে। চালু কড়ি ডালু বড়ী ভিক্ষা করি আনে। ডাকিয়া যবনগণে বীর দিলা পাণ। পশ্চিমে বসতি কর হাসনহাটী গ্রাম॥ সম্মান পাইয়া বস্তে ঘবন সকল। হরিরাম ভণে চণ্ডী চিন্তিবে মঙ্গল॥ বীরের সন্মান পায়্যা পশ্চিম দিগেতে গিয়া মোগল পাঠান। বস্তে যত মোগল পাঠান। হাসনহাটার মাঝে সৈদ সকল রাজে সেক জাদ বৈস্তে পায়্যা পাণ॥ কেহ বা সিপাই হয় বীর বিরাদবি বয় পায়দল হৈয়া কেহ রহে। কেহ বা ব্যাপার করে কেহ যায় দেশান্তরে অন্তক্ষণ কেহ যুদ্ধ চাহে॥ কেহ বা মোল্লা হয় বালক পড়ায়্যা রয় নিকা বান্ধি পায় এক তঙ্কা। (১) জোলা। (২) পাণের মঞ্চবিশেষ। (৩) স্তুতিপাঠক = ভাট। (৪) বংশাবলী-গায়ক। (৫) হাড়ি।