ধর্ম্মরাজের গীত—ঘনরাম—১৭১৩ খৃষ্টাব্দ। 86 X যুধিষ্ঠির মহারাজ কৃষ্ণের আজ্ঞায়। পণ্ডিতগণের উপদেশ। প্রকারে প্রকাশি মিথ্যা মনস্তাপ পায়॥ অশ্বথামা হত ইতি গজ বলি শেষে। ধর্ম্মপুত্র তথাপি ঠেকিল যাম্য দেশে ৷ সপ্ত পিতৃলোক তোর ভয়ে ভাব্য মতি। আজি বা অক্ষয় স্বর্গ কিবা অধোগতি॥ বিবিধ প্রকারে ধর্ম্ম বুঝান পণ্ডিত। ধর্ম্মপদে লাউসেন মজাইল চিত॥ (১) অন্তরে জানিলা প্রভূ বাইতির মতি। বাইতির বদনে বসালে সরস্বতী॥ (২) যুবতী (৩) করিছে তার ভগবতী ধ্যান। সভামধ্যে খণ্ডাতে স্বামীর ভ্রমজ্ঞান॥ অন্তরীক্ষে বসে শোনে যত দেবগণ। হরিহর বোলে সাক্ষী প্রসন্ন বদন॥ পুর্ব্বমুখ হইতে প্রসন্ন হলো হরি। হরিহর বলে রাজা নিবেদন করি॥ যেরূপ দেখেছি রায় ঈশ্বর প্রমাণ। কত কাল কঠোরে পূজিলা ভগবান॥ বর নাহি পেয়ে তনু ত্যাগ করি শেষে। সবাই তেজিল তনু ধর্ম্মের উদ্দেশে ৷ তিন দিন ছিল রায় হয়ে নবখণ্ড। 會 তবে হৈল পশ্চিমে উদয় বার দণ্ড॥ (৪) পরিপূর্ণ অমাবস্তা অন্ধকার কিবা। সত্যের জয়। হরিহরের বার দণ্ড পশ্চিমে উদয় হলো দিবা॥ সত্য পালন। প্রভু দিলা উদয় দেবতা লয়ে সঙ্গ। কহিতে কহিতে প্রেমে পুলকিত অঙ্গ॥ (১) এই সময়ে লাউসেন ধর্ম্মঠাকুরের প্রতি প্রগাঢ় ভক্তিশীল হইলেন। (২) ধর্ম্মঠাকুর বাইতির অভিপ্রায় বুঝিয়া সরস্বতীকে তাহার মুখে অধিষ্ঠিত করিলেন, সুতরাং মিথ্যা বলা অসম্ভব হইল। (৩) বাইতির স্ত্রী। (৪) তিন দিন লাউসেন স্বগণ সহ প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন, তৎপর ধর্ম্মঠাকুর প্রসন্ন হইয়া বার দণ্ডের জন্ত স্বর্য্যদেবকে পশ্চিমে উদিত করান।