8b-8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সাধু মীননাথের প্রতি তদীয় শিষ্যগণের প্রহেলিকা ভাষায় নিবেদন। গুরুদেব নিবেদি তোমার রাঙ্গ পায়। পুতকীর দুগ্ধে সিন্ধু উথলিল পর্ব্বত ভাসিয়া যায়। (১) গুরু হে বুঝহ আপন গুণে। শুষ্ক কাষ্ঠ ছিল পল্লব মঞ্জরিল পাষাণ বিন্ধিল ঘূণে। (২) হের দেখ বাঘিনী আইসে। নেতের আঁচলে চর্ম্ম মণ্ডিত কায়া, ঘর ঘর বাঘিনী পোষে॥ (৩) শিল নোড়াতে কন্দল বান্ধিল সরিষা ধরাধরি করে। চালের কুমুড়া গড়য়ে পড়িল পুইশাক হাসিয়া মরে। (৪) 豪 藥 囊 * এ বড় বচন অদ্ভুত। আকাট বাঝিয়া (৫) প্রসব হইল ছেলে চায় পায়রার দুধ॥ অনেক যতনে নৌকা বাধিনু কাকড় ধরিল কাচি (৬)। মশার লার্থীতে পর্ব্বত ভাঙ্গিল ক্ষুদ্র পিপীলিকার হাসি। (১) মীননাথ অবশেষে রমণীর প্রলোভনে দুৰ্গতি-প্রাপ্ত হইলে তদীয় শিষ্যগণ র্তাহার তপঃপ্রভাব এবং ক্ষুদ্র রমণীর হস্তে র্তাহার এবম্বিধ দুৰ্গতির কথা স্মরণ করাইয়া দিতেছেন। তাহারা হেঁয়ালীর ভাষায় নানা প্রকার উপমা দ্বারা বুঝাইতেছেন যে, তাহার মত সাধুর এরূপ অধোগতি অসম্ভবকেও সম্ভব করিয়াছে। (২) শুষ্ক কাষ্ঠ মঞ্জুরিত হওয়া এবং ঘুণের পক্ষে পাষাণকে ছিদ্র করা যেরূপ অসম্ভব ব্যাপার, আপনার পক্ষে সামান্ত নরসুলভ দুর্ব্বলতায় অভিভূত হওয়াও তদ্রুপ। (৩) তুলসী দাসের একটা দোহার অনুবাদ। (৪) ইহার তাৎপর্য্য এই যে, বৃহৎ পক্ষের অধোগতি হইলে সামান্ত ব্যক্তিরাও বিদ্রুপ করিতে ছাড়ে না। (৫) আকাট=সম্পূর্ণরূপে। বাঝিয়া=বন্ধ্যা। (৬) কাছি= দড়ী।