গঙ্গাদাস সেনের মহাভারত। ষষ্ঠবর সেনের পুত্র গঙ্গাদাস সেন। এই পুস্তকের ২৫০–২৫৮ পূঃ দ্রষ্টব্য। প্রায় ৩০০ বৎসরের প্রাচীন হস্তলিখিত পুথি হইতে নিম্নাংশ উদ্ধত হইল। দেবযানী ও যযাতি। একদিন দেবযানী হৃদয় হরিষ গণি শর্ম্মিষ্ঠা লইয়া রাজ-সুত। ঋতু-রাজ মধুমাস ক্রীড়াখণ্ডে অভিলাষ চলি আইল পুষ্প-বন যথা। নানা পুষ্প বিকশিত গন্ধে বন আমোদিত ফুটিয়া লম্বিত হইছে ডাল। কোকিলের মধুর ধ্বনি শুনিতে বিদরে প্রাণী ভ্রমরে করয়ে কোলাহল॥ সানন্দিত বন দেখি মিলিয়া সকল সর্থী ক্রীড়া যত করয়ে হরিষে। মলয়া সমীর বাও ধীরে ধীরে বহে গাও প্রাণ মোহিত গন্ধবাসে॥ হেন সমে যযাতি বিধাতা-নির্ব্বন্ধ-গতি মৃগয়া-কারণে সেই বন। ভ্রমিয়া কানন চয় মৃগ কথা (১) নাহি পায় কন্ত্য সব দেখে বিদ্যমান॥ তার মধ্যে দুই কন্যা রূপে গুণে অতি ধন্ত জিনি রূপ রম্ভাহ উর্ব্বশী। “ অধর বান্ধুলি-জ্যোতিঃ দশন মুকুতা-পাতি বদন জলয়ে যেন শশী॥ নয়ন-কটাক্ষ-শরে মুনি-মন দেখি হরে ভ্রযুগ কাম-ধনু-ধারা। (১) কোথায়ও।