to8 কুশল-জিজ্ঞাস। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। জনম অবধি আমি তুয়া অনুগত। তুয়া পদ বিনে চিত্ত নহে বিচলিত॥ দুষ্ট ভাঞি দিতে চাহে শিশু মহীপালে। নৃপগণে আসিবারে আনিতে পাঠালে। কিন্তু যদি দাসী প্রতি থাকে অনুগ্রহ। আমার মুখের কালী আসিয়া মুছাহ। বিভা পূর্ব্বে চণ্ডীপূজা আছে কুলক্রম। সেই কালে দিব নৃপবৃন্দেরে সরম। ইহা নিবেদন কৈলাম চরণ-রাজীবে। যা জান তা কর প্রভু হা প্রাণবল্লভে ৷ লিপি করি পত্র দিলা ব্রাহ্মণের করে। বিবরিয়া কহিল সকল সমাচারে। চলিল ব্রাহ্মণ তবে পবনের গতি। বহু কষ্টে উত্তরিলা পুরী দ্বারাবতী॥ দ্বারেতে নিষেধ নাই ব্রাহ্মণ যাইতে। অবহিত গেল দ্বিজ কৃষ্ণের সাক্ষাতে॥ দ্বিজে দেখি ঠাকুর (১) হইল অতি ব্যস্ত। পাদ্য অর্ঘ্য আসন যতনে করি দ্যস্ত ৷ আহা মরি কিবা প্রভুর মহিমা প্রচুর। বিপ্র-পদ ধৌত করে আপনি ঠাকুর। নানা উপহারে দ্বিজে করাল্য ভোজন। আচমন করি কৈল মুখের শোধন॥ রত্ন পালঙ্কে দ্বিজ শয়ন করিলা। পদ দ্বারি দ্বারি প্রভু পুছিতে লাগিলা॥ কহ কহ দ্বিজবর কুশল বারতা। কি কারণে আইলে নিবাস তব কোথা॥ দ্বিজ কহে বাস মোর ভীষ্মক-নগরে। রুক্মিণীর দূত হৈয়া আইলু হেথাকারে। এই নেহ রুক্মিণীর আছে এক লিপি। পত্র লয়ে বক্ষেতে বুলাএ ঘন্থপতি॥ (১) শ্রীকৃষ্ণ।