46 refutura কথা। আপাততঃ হৃদয়ের কঠোরতার প্রকাশক বলিয়া মনে হয়, কিন্তু ইহার মধ্যে একটী গভীর সত্য নিহিত আছে। আত্মাতে আত্মাতে এক প্ৰকার যোগ স্থাপিত হয়, যাহা রক্তের সম্বন্ধকে অপেক্ষা করে না । কিন্তু যে অধ্যাত্মি-যোগ দ্বারা ঈশ্বরকে জানা যায়, তাহা আরও গভীর বস্তু। সংক্ষেপে বলিতে গেলে, জ্ঞান দ্বারা তঁহাকে আত্মার প্রতিষ্ঠা-ভূমি রূপে লক্ষ্য করা, প্রেম দ্বারা তঁাহাকে প্ৰেমাস্পদ রূপে অবলম্বন করা ও ইচ্ছাদ্বারা তাহাকে অধিপতিরূপে বরণ করাই অধ্যাত্ম-যোগ। আর এবটু ভাঙ্গিয়া বলা আবশ্যক। আত্ম-জ্ঞানের মূলেই পরমাত্ম-জ্ঞান নিহিত। আত্মার আশ্রয় ভূমি যে তিনি তাহার জ্ঞানকে পরিহার করিয়া আত্ম-জ্ঞান সম্ভব নহে। পরমাত্মা হইতে বিচু্যত করিয়া আত্মার যে জ্ঞান তাহা আংশিক জ্ঞান এবং প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে জ্ঞান শব্দের বাচ্য নহে। বৃহদারণ্যক উপনিষদে মৈত্ৰেয়ী যাজ্ঞবল্ক্যসংবাদে এ বিষয়ের একটী উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। যখন মানুষ কোন দুন্দুভির শব্দ শ্রবণ করে, তখন সেই শব্দমাত্রের জ্ঞানকে কি তাহার পুর্ণজ্ঞান বলা যাইতে পারে ? তাহা পারে না । যখন সে স্বচক্ষে দুন্দুভিকে ও সেই সঙ্গে বাদককে ও বাদন-প্রক্রিয়াকে দর্শন করে, তখনি তাহার জ্ঞান পুর্ণতা প্রাপ্ত হয়। অথবা মনে কর যে ব্যক্তি কেবল দূর হইতে ইন্দ্ৰধনু দেখিতেছে, ও তাহার বিচিত্ৰ বৰ্ণ দর্শন করিয়া পুলকিত হইতেছে, কিন্তু তদাতিরিক্ত আর কিছু জানে না, সে কি ইন্দ্ৰধনুকে জানে ? বৃষ্টিধারার বিন্দু সকলের মধ্যে সুৰ্যকিরণ