পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৩

ভারতবাসীদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম এই মনোনয়ন লাভ করিতে সমর্থ হন। এই শিক্ষা শেষ হইলে ভোঁস্‌লেকে বেরিলীতে সেনাধিনায়ক মণ্ডলীর অন্তর্গত পদবিশেষে নিযুক্ত করা হয়। অতঃপর তাঁহাকে লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেলরূপে সিঙ্গাপুরে পাঠান হয়।

 বিবরণে প্রকাশ, সিঙ্গাপুরের দূরবস্থার পর ভোঁস্‌লে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন এবং সৈন্যাধ্যক্ষরূপে সর্বোচ্চ পদে তিনি অভিষিক্ত হন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের জন্য সহস্র সহস্র অফিসারকে শিক্ষিত করিয়া তোলেন। তাঁহাকে ব্যাঙ্ককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, তাহাকে দিল্লীর ‘লালকেল্লায়’ বন্দী জীবন কাটাইতেছেন।

 জগন্নাথরাও ঐতিহাসিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিজাত সর্দার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গত মহাযুদ্ধে এবং এই মহাযুদ্ধেও তাঁহার অনেক আত্মীয় সাহস ও বিক্রমের পরিচয় দিয়াছেন। তাঁহার একটি আত্মীয় গোয়ালিয়র রাজ্যের উচ্চপদস্থ সামরিক আফিসারের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। কাপ্টেন ভোঁস্‌লে সিন্ধিয়ার বর্তমান শাসকেরও আত্মীয়।

 তাঁহার পত্নী চাঁদকিনোবাঈও অভিজাত পরিবার সম্ভূত। বরোদা, কোলাপুর, শান্তবাদী, প্রভৃতি কয়েকটি দেশীয় রাজ্যের নৃপতির সহিত তাঁহার আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। জগন্নাথরাওএর তিনটী কন্যা বর্তমান—জ্যেষ্ঠের বয়স ১১ বৎসর। তাঁহার স্ত্রী ও কন্যারা বর্তমানে বরোদাতে বাস করিতেছেন।

 জগন্নাথরাওয়ের পেশীবহুল বলিষ্ঠকায় আকৃতি সৈন্যোপজীবিকার পক্ষে বিশেষ উপযোগী। মহৎ-চরিত্র ও সরল ব্যবহারের গুণে তিনি সকলেরই প্রিয়। মহারাষ্ট্র ভাষা ছাড়া উর্দু ও ইংরাজী ভাষার উপবও তাঁহার বেশ অধিকার আছে। তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী। সৈনিক জীবনে তিনি খেলা-ধূলায় পারদর্শিতা দেখাইয়া বহু পদক লাভ করিয়াছিলেন। ক্রিকেট তাঁহার প্রিয় খেলা।