পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 জগন্নাথরাওএর ৮৫ বৎসর বয়স্কা বৃদ্ধা মাতা গঙ্গাবাঈ তাঁহার বীর সন্তানের সহিত মিলিত হইবার জন্য গৃহদেবী ভবানীর নিকট প্রার্থনা করিয়া শান্তবাদীতে কালাতিপাত করিতেছেন। বৃদ্ধা মাতার এই আকুল কামনা কি পূর্ণ হইবে না?

লেঃ কর্ণেল ডাঃ লক্ষ্মী স্বামীনাথন

 ডাঃ লক্ষ্মী স্বামীনাথন ১৯৩৭ সালে মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজ হইতে ভৈষজ্য ও শল্য শাস্ত্রে ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর ১৯৪২ সালে তিনি সিঙ্গাপুর গমন করেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়া উহার অন্তর্ভুক্ত নারীবাহিনী গঠন করেন। তিনি লেঃ কর্ণেল পদে উন্নীত হইয়া “ঝাঁসীর রাণী” বাহিনীর অধিনায়কত্ব করেন। সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী ঝাঁসীর রাণীর নামানুসারে উক্ত বাহিনীর নামকরণ করা হয় এবং মালয়ে অবস্থিত ভারতীয় পরিবার হইতে উক্ত বাহিনীর জন্য নারীদের সংগ্রহ করা হয়। তাহারা অস্ত্র প্রয়োগের কৌশল ও যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করে। ব্রহ্মে জাপানীদের পতনের পর এই নারী বাহিনীর অস্তিত্ব লোপ পায়। অতঃপর শ্রীমতী লক্ষ্মী কিছুকাল কালেওয়ায় এবং পরে রেঙ্গুনে ইউনাইটেড ফার্ম্মেসীতে আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যদের মধ্যে চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বৃটিশ কর্তৃপক্ষের নিকট পরে আত্মসমর্পণ করেন। ঝাঁসীর রাণী বাহিনীর অধিনায়িকা লেঃ কর্ণেল লক্ষ্মী স্বামীনাথনের বয়স ৩২ বৎসর। তাঁহার পিতা একজন বিখ্যাত ব্যারিষ্টার ছিলেন এবং তাঁহার মাতা শ্রীযুক্তা আম্মু স্বামীনাথন ভারতবর্ষে সুপরিচিত। এই বীরাঙ্গনা বাল্যে ঐশ্বর্য্যের ক্রোড়ে লালিতপালিত হইলেও নানারূপ বিদ্যার ও কলার্চ্চার প্রতি তাঁহার অনুরাগ ছিল এবং তিনি বেশভূষা হইতে আরম্ভ করিয়া, এমন কি কথাকলি নৃত্যের আঙ্গিক পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করিতে পারিতেন। তিনি ক্রীড়ামোদী ছিলেন এবং টেনিস ও