পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৪৩

 এই শহীদ দ্বয়ের প্রাণ রক্ষার জন্য কর্ত্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাইবার জন্য পরে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গিল অনুকম্পা প্রদর্শনের আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করিতে অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন যে, তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্য এবং সৈন্যের মতই নিজের সম্মানকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া তিনি মৃত্যুবরণ করিতে চাহেন।

 সর্দ্দার অমর সিং গিল, শ্রীযুত জ্যোতিষ বসু, শ্রীযুত হরিদাস মিত্র ও ডাঃ পবিত্র রায়—এই চারিজন বন্দীর মৃত্যুদণ্ড বড়লাট মঞ্জুর করিয়াছেন।

 মহাত্মা গান্ধী কিছুকাল পূর্ব্বে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত এই বন্দী চারিজন সম্পর্কে বড়লাট ও তাঁহার সেক্রেটারী স্যার ইভ্যান্স জেঙ্কিন এর সহিত কথাবার্ত্তায় প্রবৃত্ত হন। আদালতে বন্দী চারি জনের যে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়াছেন, মহাত্মা গান্ধীর চেষ্টাতেই তাহা মঞ্জুর করা হয়।

বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরে আজাদ হিন্দ ফৌজের ২৫ জন

সদস্যের মৃত্যু

 আজাদ হিন্দ ফৌজের ২৫ জন বীর সেনা গত ৮ই অক্টোবর বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরে জাতীয় সঙ্গীত গাহিবার অপরাধে ভীষণ এবং নিষ্ঠুর ভাবে বন্দুকের আঘাতে মৃত্যু মুখে পতিত হন।

 ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরে প্রায় ২,৫০০ আজাদী সৈন্যকে অবরুদ্ধ করিয়া রাখা হয়। তাঁহারা জাতীয় সঙ্গীত গাহিতে থাকিলে একজন ভারতীয় ক্যাম্প কম্যাণ্ডার তাঁহাদিগকে ঐ সঙ্গীত গাহিতে নিষেধ করেন। তাঁহারা এই নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেন এবং উর্দ্ধতন কর্ম্মচারীর নিকট রিপোর্ট করা হয়। এই সংবাদ পাওয়া মাত্র তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং একজন ভারতীয় কম্যাণ্ডারকে বন্দীগণের উপর বন্দুক চালনা করিতে