পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

আদেশ দেন। ভারতীয় কম্যাণ্ডার এই আদেশ পালন করিতে অস্বীকার করেন। তখন দিল্লী হইতে একটি নবগঠিত গুর্খা বাহিনীকে বাহাদুরগড় বন্দীশিবিরে তলব করা হয় এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের উপর বন্দুক চালনা করিতে আদেশ দেওয়া হয়, ফলে ২৫ জন আজাদী সৈন্য প্রাণ হান্নান এবং আরও কঙ্কেক জন আহত হন।

 আহত সৈনিকগণকে একজন ভারতীয় ডাক্তারের নিকট প্রেরণ করা হয়। তিনি সৈনিকদের যে বন্দুক চালনা করা হইয়াছে সেই সম্বন্ধে লিখিত বিবৃতি না পাওয়া পর্য্যন্ত প্রথমে আহতদিগকে হাসপাতালে ভর্ত্তি করিতে অস্বীকার করেন।

 ইহাছাড়া বহু বন্দীকে পরস্পরের প্রতি জয় হিন্দ্ বলিয়া অভিনন্দন জানাইবার অপরাধে চপেটাঘাত করা হয় এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। আহত সৈনিকগণকে তিনি দিন পর্য্যন্ত কোন কোন প্রকার খাদ্য দেওয়া হয় নাই।

 শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু জার্ম্মানীতে যাইয়া জার্ম্মানগণ কর্ত্তৃক ধৃত ভারতীয় সৈন্যদের লইয়া যে বাহিনী গঠন করেন বাহাদুরগড় বন্দী শিবিরে অবরুদ্ধ সৈনিকগণ তাহাদেরই অন্তর্ভুক্ত। ইহাদিগকে বলা যায় আজাদ হিন্দ ফৌজের ইউরোপীয় শাখা।

 গত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে এই শিবিরে কতকগুলি ঘটনা ঘটে। ঘটনাগুলির সত্যাসত্য নির্দ্ধারণের জন্য বন্দীশিবির পরিদর্শন করিতে একদল সাংবাদিককে আমন্ত্রণ করা হয়। বন্দীনিবাসে যে সকল ঘটনা ঘটে তাহার তদন্ত করিবার জন্য—দুইটি তদন্ত আদালত করিয়া তাহাদের শ্রেণীবিভাগ করেন এবং তদনুসারে তাঁহাদের সম্পর্কে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়।

 বন্দীদের অভিযোগ এই যে, তাঁহাদের প্রতি অতিরিক্ত কঠোরতা প্রদর্শন করা হইয়াছিল। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকজন দুর্ব্বল লোককে দ্বিগুন পরিশ্রম করিতে বাধ্য করা হইয়াছিল। যখন তাঁহারা শ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন,