পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

চ্যাটার্জি ও শ্রীযুত রাসবিহারী বসুর বক্তৃতার সময় উপস্থিত ছিলেন। ইঁহারা উভয়েই আজাদ হিন্দ ফৌজ রক্ষা করার জন্য শ্রোতৃগণকে অনুরোধ করিতেন। তাঁহারা এই যুক্তি দেখাইতেন যে, আজাদ হিন্দ্ ফৌজের উদ্দেশ্য যখন মহৎ এবং জাপানীরা যখন তাহাদিগকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে গ্রহণ করিতে সম্মত নয়, তখন আজাদ হিন্দ ফৌজ ভাঙ্গিয়া দিলে তাহাদের অবস্থা শোচনীয় হইবে।

 অতঃপর সাক্ষী কি ভাবে সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বময় কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন রাসবিহারী বসুর নিকট হইতে কর্মপরিষদের ভারও স্বহস্তে গ্রহণ করেন, তাহা বর্ণনা করেন।

 অফিসারদের অধিকাংশেরই এই মত ছিল যে, তাহাদের পক্ষে আর জাতীয় বাহিনীতে থাকা উচিত নহে। তাহারা প্রকাশ্যভাবে বক্তৃতাগুলির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিতে থাকেন। তাহারা রাসবিহারী বসুর তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯৪৩ সালের জানুয়ারী মাসে বা ফেব্রুয়ারীর প্রথমভাগে ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর অফিসারগণকে এই বিষয়ে কতকগুলি প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। উহাতে সাক্ষী জানান যে, তিনি আর জাতীয় বাহিনীতে থাকিতে প্রস্তুত নহেন। রাসবিহারী বসুর সহিত সাক্ষাৎকালেও তিনি সে জবাবই দিয়াছিলেন। ১৯৪৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী মিঃ রাসবিহারী বসু একটি নির্দেশনামা জারী করেন। উহাতে অন্য কথার সঙ্গে নিম্নোক্ত কথাটিও ছিল “ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর অফিসার যে সকল জবাব দিয়াছেন, সেগুলি আমি সযত্নে পর্যালোচনা করিয়াছি। লক্ষ্য করিয়াছি যে, প্রায় সকল অফিসারই সংগ্রাম করিতে ও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করিতে প্রস্তুত রহিয়াছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সকলে ভারতীয় জাতীয় ফৌজে থাকিতে প্রস্তুত নহে! অফিসারগণকে নিম্নোক্ত কয়টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়:—(১) ইংরেজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বনে যাহারা শঙ্কা বোধ করিতেছে; (২) ভারতের কংগ্রেসের উপর যাহাদের পূর্ণ