পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৫৩

আস্থা নাই; (৩) যাহারা ভারতবর্ষে ডোমিনিয়ন প্রতিষ্ঠার বিশ্বাসী; (৪) যাহারা বর্ত্তমান অবস্থায় ভারতীয় জাতীয় বাহিনীতে থাকিতে ইচ্ছুক নহে।

 এ সকল মত যদি যুদ্ধবন্দীরা প্রকাশ করিতেন, তবে সেগুলির তাৎপর্য অতি সহজেই বুঝা যায়। কিন্তু অফিসারগণকে এ ধরণের মত প্রকাশ করিতে দেখিয়া স্বভাবতঃই মনে এই প্রশ্ন জাগে, একমাত্র ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিচালনার সঙ্কল্প লইয়া যে আন্দোলন আরম্ভ করা হইয়াছে, কি উদ্দেশ্য লইয়া এইসকল অফিসার উহাতে যোগ দিয়াছেন। ডোমিনিয়নের মর্যাদা যাহাই হউক না কেন, উহা বৃটেনের ডোমিনিয়ন হইবে এবং বৃটিশ ডোমিনিয়ন হিসাবে বৃটেনের স্বার্থই রক্ষণ করিবে। বৃটেনের বিরুদ্ধে ভারতের সংগ্রাম এখন এক সঙ্কটজনক অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিয়াছে।”

 রাসবিহারী বসুর সহিত সাক্ষাৎ শেষ হইলে সাক্ষী এবং অপর যে সকল ব্যক্তি জাতীয় ফৌজে যোগ দিতে অসম্মত হইয়াছে, তাহাদিগকে সিঙ্গাপুরে একটি ক্যাম্পে আলাদাভাবে রাখা হয়। মেজর আগাওয়া নামক জনৈক জাপ অফিসার তাঁহাকে সেখানে লইয়া যান। সেখান হইতে তাঁহাদিগকে জোহরবারুর অপর একটি ক্যাম্পে লইয়া যাওয়া হয়। কিছুদিন সে ক্যাম্পে অবস্থানের পর সাক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বিদাদারী হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে এক মাস অবস্থানের পর সেখানকার কম্যাণ্ডিং অফিসার জানান যে, যে সকল রোগী এখনও ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর ক্যাম্পে অবস্থান করিতে রাজী হইতেছে না, তাহাদিগকে একটি নির্জন ক্যাম্পে প্রেরণ করা হইবে। শেষোক্ত ক্যাম্পে চিকিৎসার কোনই বন্দোবস্ত নাই। সাক্ষী চিকিৎসার সুযোগ হারাইতে পারেন না বলিয়া অগত্যা ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে পুনরায় জাতীয় বাহিনীতে যোগদান করেন।

 সাক্ষী ১৯৪৩ সালের মে মাসে ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর জজ-এডকোকেট হিসাবে পুনরায় কার্যভার গ্রহণ করেন। কিন্তু লক্ষ্য করেন যে, উহা এক সম্পূর্ণ