পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৬৯

ভারতীয়েরা যথেষ্ট অর্থ এবং জিনিষপত্রাদি অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টকে দান করে এবং এই ভাবে সংগৃহীত অর্থ আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্কে জমা রাখা হইয়াছিল বলিয়া তিনি অবগত আছেন। সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা হইবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে, তিনি অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক খবর জানেন না, তবে উহা যে কয়েক কোটী হইয়াছিল ইহা ঠিক। জজ এডভোকেটের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে, বিভিন্ন ঘোষণা এবং সুভাষ বসুর বক্তৃতা হইতে তিনি এই সব সংবাদ পাইয়াছেন। একবার কি দুইবার জনসভায় অর্থসংগ্রহ করিতে তিনি নিজে দেখিয়াছেন।

 জজ এডভোকেট বলেন যে, তিনি শুনা কথা বাদ দিতে চান।

 শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন যে, ব্রহ্ম পুনরধিকারের পর আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের কাগজ পত্র এবং উহার বহু উচ্চপদস্থ ব্যক্তি মিত্রপক্ষের হাতে পড়ে, ফলে কেবল মুদ্রিত দলিলের আকারেই এই সম্পর্কে সংবাদ পাওয়া গিয়াছে। সুতরাং এই সাক্ষীর নিকট হইতেই যতদূর সম্ভব সংগ্রহ করিতে আমি চেষ্টা করিব।

 জজ এডভোকেট—সাক্ষীর নিকট হইতে আপনি কেবল এই ধরণের জনশ্রুতিই পাইবেন।

 সাক্ষী বলেন যে, অস্থায়ী গভর্নমেণ্ট কত্তৃক সংগৃহীত অর্থের উপরই আজাদ হিন্দ ফৌজকে নির্ভর করিতে হইত। এই টাকা আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক হইতে দেওয়া হইত কিনা তাহা তিনি জানেন না; এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্থসচিবের উপর ন্যস্ত ছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজের হিসাবরক্ষক মেজর মুর্ত্তি অর্থসচিবের নির্দেশ অনুসারে চলিতেন। ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জি প্রথম অর্থসচিব ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালে মিঃ রাঘবন এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 সাক্ষী মেমিওতে লেঃ কর্ণেল এসান কাদেরের সহিত সাক্ষাৎ করেন। মিঃ কাদের ঐ সময় আজাদ হিন্দ দলের সহিত অবস্থান করিতেছিলেন। আজাদ