হিন্দ ফৌজ কর্ত্তৃক অঞ্চলগুলি শাসনের ভার এই দলের উপর অর্পিত হয়। অসামরিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে সিঙ্গাপুর এবং রেঙ্গুনের কয়েকজন অসামরিকদিগকে শিক্ষা দেওয়া হয়; উহাদের লইয়া এই দল গঠিত হয়। অধিকৃত অঞ্চলের শাসন কর্ত্তার পদে লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জ্জী মনোনীত হন। এই সব অঞ্চল শাসনের জন্য রচিত খসড়াটি মিঃ সরকার প্রণয়ন করেন এবং উহা লেঃ কর্ণেল চ্যাটার্জীর হস্তে দেওয়া হয়। সাক্ষী প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরিয়া এই খসড়াটি পরীক্ষা করেন এবং উহা তাহার নিকট ভাল বলিয়াই মনে হয়। ১৯৪৩ সলের শেষভাগে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের হস্তে অর্পণ করা হয় এবং লেঃ কর্ণেল লোকনাধনের উপর এই এলাকার শাসনভার অর্পিত হয়। তিনি আটমাস কাল এই এলাকায় শাসন করেন।
এই অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টকে জার্ম্মাণী, জাপান, ইতালী, থাইল্যাণ্ড, ফিলিপাইন, ক্রোয়াটীয়া, মাঞ্চুরিয়া এবং তৎকালীন ব্রহ্ম গভর্নমেণ্ট স্বীকার করিয়া লইয়াছিল, সে-কথা সাক্ষীর স্মরণ আছে।
প্রশ্ন:—আপনার কি মনে আছে যে, আইরিশ রিপাবলিক এই অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট মানিয়া লইয়াছিল কিনা?
উত্তর:—না।
সাক্ষী জানিতেন যে, ব্রহ্ম সরকারের ব্রহ্ম রক্ষা বাহিনী ছিল কিন্তু সেই ব্রহ্মরক্ষা বাহিনী এক্ষণে ব্রহ্মের বর্ত্তমান সেনা দলের সহিত মিশিয়া গিয়াছে কিনা, তাহা সাক্ষী জানেন না। সাক্ষী এক সময় ব্রহ্মরক্ষী বাহিনীর অধিনায়ক জেঃ আউং সানের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন।
ভারতের মুক্তির জন্য বৃটিশের সহিত যুদ্ধ করা জাতীয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল। এই অস্থায়ী সরকারের আর একটি উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব্ব এশিয়ার ভারতীয়দের জীবন সম্মান ও সম্পতি রক্ষা করা। ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস হইতে মে মাস পর্য্যন্ত ভারতীয় জাতীয় বাহিনী ব্রহ্মে ভারতীয়দিগকে