পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৭১

রক্ষা করার চেষ্টা করে। এই সময় রেঙ্গুণ বৃটিশ কর্ত্তৃক অধিকৃত হয়। জাপানীরা ব্রহ্ম ও মালয় অধিকার করিলে তথায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট এই সমস্ত দেশের ভারতীয়দিগকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এই কার্য্যের জন্য কাহাকে নিযুক্ত করা হইয়াছিল অথবা জাতীয় বাহিনী কি ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়াছিল তাহা সাক্ষী জানেন না। ১৯৪২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী তারিখে বৃটিশ যখন সিঙ্গাপুরে আত্মসমর্পণ করে তথায় জাতীয় যুদ্ধ বন্দীদের জন্য তিন চারিটি ক্যাম্প ছিল। প্রত্যেক হাসপাতালে পাঁচ শত হইতে সাত শত রোগীর স্থান ছিল। ১৯৪৩ সালের মার্চ্চ মাসে সাক্ষী চিকিৎসার্থ বিদাদারী হাসপাতালে ছিলেন।

 শ্রীযুক্ত দেশাই:—বিদাদরী হাসপাতাল হইতে পাছে সেলেটারে আপনাকে স্থানান্তরিত করা হয়, সেই ভয়ে আপনি দ্বিতীয় ভারতীয় জাতীয় বাহিনীতে যোগ দেন,—এই মর্মে আপনি কোর্টে জবানবন্দী দিয়াছেন এখন আপনি বলিতেছেন যে, সেলেটারেও একটি হাসপাতাল ছিল।

 উত্তর:—আমাকে বলা হয়েছিল যে, আমি সেলেটারের একটি শিবিরে যাইতেছি, সেখানে কোনই হাসপাতাল নাই।

 প্রশ্ন:—তাহা হইলে সেলেটারে একটিমাত্র হাসপাতাল ছিল এবং সেখানে যে কোন সময় বন্দী ভর্তি হইতে পারিত?

 উত্তর:—হ্যাঁ।

 প্রশ্ন:—কাজেই আপনাদিগকে সেলেটার ক্যাম্পে পাঠান হইতেছে একথা বলা ঠিক নহে।

 উঃ—না, যদিও আমরা রোগী ছিলাম তথাপি আমাদিগকে কোন হাসপাতালে পাঠান হয় নাই। ব্যাপারটা এইরূপ দাঁড়ায় কিনা যে যাহারা জাতীয় বাহিনীতে থাকিতে ইচ্ছুক নহেন তাহাদিগকে সেলেটার ক্যাম্পে পাঠান হইল কারণ সেখানে কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থা ছিল না।