পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী হাসিয়া বলিলেন, “ভয় নাই মা ! তোমাকে আমি জানি । এই যে তোমার নাম, তোমার যশঃ, তোমার ব্ৰহ্মচর্য্যের বিপুল কাহিনী দেশে-দেশে প্রচারিত হইয়াছে ; তোমার জন-সেবা দর্শনে লোকে মুগ্ধ হইয়া ভক্তিভরে তোমার নাম স্মরণ করিতেছে ; কাশীর লক্ষ্মী-আশ্রম তোমার নাম ঘোষণা করিতেছে ; ইহাই তোমার পরীক্ষা ! কেহ নির্জনে পরীক্ষা দেয়, কাহাকেও বা জনসমারোহের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয়। তুমি শেষোক্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছ। এখন তুমি কি করিতে চাও, তাহাই আমার জিজ্ঞাস্য ।” লক্ষ্মী বলিল, “তাত ত আমি জানি না প্ৰভু ! সে কথা তি কোন দিন ভাবি নাই,- সে চিন্তা ত কোন দিন আমার মনে উঠি বার অবকাশ পায় নাই ।” “তোমার কন্যার কথা কিছু ভাবিয়াছ ?” “আমার কন্যা ! না প্ৰভু, কন্য। ত আমার নয়। আমি যে দ্বাদশ বৎসর পূৰ্ব্বে তাহাকে বিশ্বনাথের চরণে সমৰ্পণ করিয়া নিশিচন্ত হইয়াছি । তাচার কথা ত ভাবি নাই-একদিনের জন্য ও ভাবি নাই । সে ভার ত প্ৰভু আমার উপর দেন নাই। প্ৰথম যখন আপনি আমাকে এখান হইতে সরাইয়া লইয়া গেলেন ; দেবীর উপর, আর রমেশ দাদার উপর সে ভার দিলেন, তখন এক-একবার মন কেমন হইত, এ কথা কেমন করিয়া অস্বীকার করিব। কিন্তু দেখিলাম, এই বন্ধন ছিন্ন করিতে হইবে, নতুবা আপনার প্রদর্শিত পথে অগ্রসর হইতে পারিব না । তাহার পর SS