V কবিতাকুসুমাঞ্জলি। বচনাদি প্ৰস্তুত করিয়া ব্ৰাহ্মণজাতিকে চিকিৎসাদি কাৰ্য হইতে বিদূৱীকৃত করেন, ইহা রহস্তের বিষয় নয় কি ? অপরন্তু—ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য ও শূদ্র এই চতুর্বর্ণ আদিমজাতি, ইহার মধ্যে বৈদ্যজাতির উল্লেখ কোন গ্রন্থে করেন নাই, যদি বৈদ্যজাতিকে বৈশ্য বলিয়া উল্লেখ করা যায়, তাকাও ভ্রম ; যেহেতু বৈশ্যজাতি পণ্যজীবী অর্থাৎ বণিকপদ বাচ্যে গণ্য, ফলকথা। এই চতুর্বর্ণাতিরিক্ত বৈদ্যজাতি হইতেছেন ; সুতরাং শঙ্করজাতির মধ্যে বৈদ্যজাতি পরিগণিত হইবেন না কেন ? এক্ষণে প্রশ্ন এই যে—শঙ্করবৈদ্যজাতি উৎপন্ন হইবার পূর্বে কোন জাতিতে চিকিৎসাকাৰ্য্য করিতেন ? তৎকালে আয়ুৰ্বেদবিৎ ব্রাহ্মণগণেই চিকিৎসা করিতেন কি না ? তবে কেন ধৃষ্টতাপূর্বক নানাবিধ গঠিত বচনাদি দ্বারা ব্ৰাহ্মণ চিকিৎসককে ঘৃণা করেন ? তাহা সম্পূর্ণ ভ্রম ও অন্যায় বলিয়া ক্ষুদ্ৰবুদ্ধিদ্বারা স্থির হইল । ভৃগুপদচিহ্রধারী অতএব ব্ৰাহ্মণমৰ্য্যাদক এবং জগৎপালক ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ ব্ৰাহ্মণের দারিদ্র্য দুঃখে দুঃখিত হইয়া বৈকুণ্ঠধামে একদা শ্ৰীশ্ৰী৬/ ঈশ্বরী কমলা সমীপে প্রশ্ন করিতেছেন যে, দেবি ! কমলে ! আমার পরম ভক্ত, উপাসক ও তাপস ব্রাহ্মণগণের প্রতি আপনার দয়ার উদ্রেক হয় না কেন ? ইহঁরা অতি নিঃস্ব, সেই হেতুক সৰ্ব্বদা ভিক্ষায় জীবিকা নিৰ্বাহ ও বহু দুঃখে কালাতিপাত করেন , অতএব ব্ৰাহ্মণ প্রতি আপনি করুণা প্ৰকাশ করিয়া প্রতি দান করুন ? তৎপ্রশ্নে দেবী কহিতেছেন, “নাথ ! শ্ৰীয়তাং” অর্থাৎ হে ভগবন! দয়া করিয়া শ্ৰবণ করুন। ব্ৰাহ্মণ লক্ষ্মীছাড়া হইবার কারণ ও প্ৰমাণ যথা পীতঃ ক্ৰোধেন তাঁতশ্চরণতল হতো বল্লভে যেন রোষা, দাবাল্যাদবন্ধুবর্গৈানিজমুখবিবরে ধাৰ্য্যতে বৈরিণী মে। মদগ্যেহং ছেদয়ন্তঃ প্রতিদিবসমুমকান্ত-পূজানিমিত্তং, তস্মাৎ খিন্না সদাহং দ্বিজকুলভবনং নাথ! নিত্যং ত্যজামি ॥৫৷৷
