পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল হরিনাথ। । So S যে, তাহার ক্ৰন্দনে উপাসনার ব্যাঘাত হইবে মনে করিয়া তঁহাকে মন্দিরের বাহিরে লইয়া যাওয়া হয়। এই প্রকারে সারাদিনে উৎসবের কাৰ্য্য শেষ হইলে গভীর রজনীতে আচাৰ্য্য বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় স্বীয় ভবনে যখন বিশ্রামাসন গ্ৰহণ করেন, তখন আমি তঁহাকে নিবেদন করিলাম, দেব! আদ্যকার ব্যাপার। যাহা আমি দেখিয়াছি, তাহ প্ৰকাশ করিতে সাহসী হইতেছে না; লোকে শুনিলে আমাকে উন্মাদ বা গাঁজাখোর বলিবো। আচাৰ্য্যদেব হাস্য করিয়া বলিলেন, বল, এখানে কোন অবিশ্বাসী নাই। আমি তখন যাহা দেখিয়াছিলাম প্ৰকাশ করিলাম। আচাৰ্য্যদেবের দর্শনাংশের সহিত ঐক্য হওয়ায় তিনি আনন্দ প্ৰকাশ করিলেন। পরে আচাৰ্য্যদেবের পুত্ৰ বালক যোগজীবন এবং আমার সঙ্গী আরও একটি যুবক আপন আপন দৰ্শন প্ৰকাশ করিলে আমাদের দর্শনের সহিত ঐক্য হইল। পরে আশ্রমবাসিনী কয়েকটা দেবী আসিয়া দর্শনের ভাব স্পষ্ট করিয়া বর্ণন করিলেন। আমাদের দৃশ্যের সহিত ঐক্য হওয়ার পর আচাৰ্য্যদেব আমাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “অদ্য ঐ রূপ ঘটিবে আমি তাহার কিছুই বুঝিতে পারি নাই। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের পদ্ধতিক্রমে উপাসনা করিতেছি, এই মাত্র আমার স্মরণ আছে। হঠাৎ তুলার মত কি যেন মন্দির মধ্যে প্ৰকাশিত হইল। তাহার পর এক অপূর্ব জ্যোতিঃ প্ৰকাশ পাইয়া মহিমামণ্ডপস্থ মহিলাগণের মস্তকোপরি পতিত হইল। তাহার পর সেই | জ্যোতিঃ আনন্দময়ী মা হইয়া মন্দিরের মধ্যস্থলে বিরাজ করিয়াছিলেন। অনন্তর তুলার মত জ্যোতিঃ সমূহ এক একটি মূৰ্ত্তির ভাব পরিগ্ৰহ করিয়া নৃত্য ও কীৰ্ত্তনাদি করিতে লাগিলেন। তখন মন্দির বলিয়া কিছুমাত্র অনুভূত হয় নাই, যেন অসীম আকাশে এই অদ্ভুত দৃশ্য পরিলক্ষিত হইতেছে। ধ্যানযোগে ইহাই বুঝিতে পারিয়াছিলাম।” এখন আমার সন্দেহ ও ভ্রম দূর হইল এবং বিশ্বাস জন্মিল আমি উন্মাদ হই নাইবা কোন