পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d) O R कांचांक झुद्धिनाथ । প্রকার মাদক দ্রব্য সেবন করিয়া ঐ প্রকার অপূৰ্ব্ব দৃশ্য অবলোকন कब्रि नाहे ।” উপরিউক্ত কথা কয়েকটি আমরা কাঙ্গালের স্বহন্ত-লিখিত দিনলিপি হইতে উদ্ধৃত করিলাম। কাঙ্গালের “ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের একস্থানেও এই কথার উল্লেখ আছে। ব্ৰহ্মাণ্ডবেদের প্রথমভাগের ২৯২ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে “১২৯১ সালের ১১ই মাঘ প্ৰাতঃকালে পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় যে সময় কলিকাতার সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের বেদীর কাৰ্য্য নির্বাহ করেন, সেই সময়ে একটি দৃশ্য প্ৰকাশিত হইয়াছিল। তখন অনেকেই 'মা, মা’ বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন। এই দৃশ্যে মহম্মদ নানকের হস্ত ধরিয়া, নানক আবার অন্য ভক্তজনের সঙ্গে গলাগলি হইয়া ‘একমেবাদ্বিতীয়াং, কীৰ্ত্তন করতঃ ভাবাবেশে নাচিয়াছিলেন; মহাত্মা রামমোহন রায়ও তথায় উপস্থিত ছিলেন।” । এই ১১ই মাঘের পর পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী আর সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনার। কাৰ্য্য করেন নাই বলিয়া আমাদের মনে হয়। কারণ এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই আমরা জানিতে পাইয়াছিলাম যে, সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের সহিত র্তাহার সম্বন্ধ লোপ হইয়াছিল। গোস্বামী মহাশয় তাহার পরে ঢাকায় চলিয়া গিয়াছিলেন। ১১ই মাঘের পরেও কাঙ্গাল হরিনাথ দুই তিন দিন কলিকাতায় ছিলেন। একদিন পরলোকগত প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের বাসভবনে কাঙ্গালের গান হইয়াছিল; সেখানেও অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। তাহার পরই কাঙ্গাল কলিকাতা ত্যাগ করেন।