পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল হরিনাথ এ . ܬܝ করিতে তাহার গৃহে আসিতেন। তঁহার কীৰ্ত্তিস্বরূপ উভয় বিদ্যালয় এখনও বর্তমান থাকিয়া, বালকবালিকাগণের শিক্ষার সহায়তা করিতেছে। সে সময়ে এ প্রদেশে নীলকরেরা প্ৰজাদিগের প্রতি অসহ্য অত্যাচার আরম্ভ করায়, নীলবিদ্রোহ উপস্থিত হইয়াছিল। তখন হরিনাথের সখা মথুরানাথ “হিন্দু পেট্রিয়টে” সেই সকল ঘটনা লিখিতে আরম্ভ করেন। প্ৰজাহিতৈষী “হিন্দু পেটিয়ট” সম্পাদক হরিশ্চন্দ্র তাহ আদর করিয়া পত্রিকায় প্ৰকাশিত করিতে লাগিলেন । কাঙ্গাল হরিনাথ প্ৰজার প্রতি নীলকরের অত্যাচার কাহিনী “সংবাদ প্ৰভাকরে” লিখিতে আরম্ভ করিলেন। উভয়ের লিখিবার বিষয় একই ছিল, কেবল ইংরাজী ও বাংলা ভাষা এই মাত্ৰ প্ৰভেদ। কাঙ্গাল আত্মজীবন-চরিতে লিখিয়াছেন, “সাধ্য ততদূর না থাকুক, প্ৰজার প্রতি নীলকরের অত্যাচার যাহাতে নিবারিত হয়, তাহার উপায় চিন্তাকরণ মথুরের ও আমার নিত্যব্ৰত छिन ।” বাঙ্গালসংবাদপত্র অনুবাদ করিয়া গবৰ্ণমেণ্ট তাহার মৰ্ম্ম অবগত হইতে ইচ্ছা করিয়াছেন, এবং তজ্জন্য একটি স্বতন্ত্ৰ কাৰ্য্যালয় স্থাপিত হইতেছে, কাঙ্গাল হরিনাথ ইহা শুনিয়া বাঙ্গালা সংবাদপএ প্ৰকাশ করিয়া দীন দুঃখী প্ৰজার প্রতি সবলের অত্যাচারকাহিনী রাজার কর্ণগোচর ; করিবেন, এই ইচ্ছার একান্ত বশবৰ্ত্তী হইলেন। তিনি আত্ম-জীবনচরিতে লখিয়াছেন, “ঘরে নাই এক কড়া, তবু নাচে নায় পাড়া। আমার ইচ্ছা! হইল এই সময় একখানি সংবাদপত্র প্রচার করিয়া গ্রামবাসী প্ৰজার যেরূপে অত্যাচারিত হইতেছে, তাহা গবৰ্ণমেণ্টের কর্ণগোচর করিলে । অবশ্যই তাহার প্রতিকার, এবং তাহাদিগের নানা প্ৰকার উপকার সাধিত হইবে । সেই ইচ্ছাতেই গ্রাম ও পল্লীবাসী প্ৰজার অবস্থা প্ৰকাশ করিব বলিয়া পত্রিকার নাম “গ্রামবাৰ্ত্তা প্ৰকাশিকা’ রাখি। গিরিশষম্বের কৰ্ত্তা