পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So কাঙ্গাল হরিনাথ গিরিশচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে ইহার জন্য একটী শিরোমুকুট বা হেডিং এবং একটী শ্লোক প্ৰস্তুত করাইতে প্ৰতিশ্রুত করাইলাম।” “গ্রামবাৰ্ত্তা প্ৰকাশিকা” সংবাদ পত্রিকা দ্বারা গ্রামের অত্যাচার নিবারিত ও গ্রামবাসীদিগের নানাপ্রকার উপকার সাধিত হইবে, তৎসঙ্গে মাতা বঙ্গভাষাও সেবিত হইবেন, ইত্যাদি নানাপ্রকার আশা করিয়া ১২৭০ সালে গিরিশ বিদ্যারত্ন যন্ত্রে মাসিক চারিফৰ্ম্ম করিয়া “গ্রামবার্তা প্ৰকাশিকা” প্ৰকাশ আরম্ভ করিলেন । সংবাদপত্রের আদিযুগে একজন দরিদ্র নিঃসম্বল অসহায় দীন হীন কাঙ্গাল, বিধিদত্ত অতুল প্রতিভা ও ঐশীশক্তি বলে দেশের জন্য, দশের সেবার জন্য এইরূপ বহুব্যয়সাধ্য সংবাদপত্রের প্রচারে ব্ৰতী হন । বিশেষতঃ তখন নিজের বা মফঃস্বলের কোথাও মুদ্রাযন্ত্র ছিল না। কলিকাতায় যাতায়াতেরও তখন সুবিধা ছিল না। কারণ পূর্ববঙ্গের রেলপথ। তখনও খোলা হয় নাই। সেই সময়ে কলিকাতায় সংবাদপত্র মুদ্রিত করিয়া প্ৰকাশ করা অসম সাহসের পরিচয় । তখন সাধারণে সংবাদপত্র বড় পড়িত না, এবং সংবাদপত্র কি তাহাও জানিত না ; সংবাদপত্রের মূল্যও অত্যধিক থাকায় ধনী ভিন্ন সাধারণের তাহা গ্ৰহণ করিবার সামর্থ্য ছিল না। সেই কারণে সংবাদপত্রের কথা সাধারণে পরিজ্ঞাত ছিল না । কাঙ্গাল হরিনাথ ভগবানের উপর নির্ভর করিয়া, এই দুরূহ কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিলেন। গ্রামবাৰ্ত্তার প্রবন্ধাদি ও প্রেরিত পত্রের সংবাদ প্রভৃতির বিচার ও ংশোধন করিয়া চারি ফৰ্ম্মার উপযুক্ত আদর্শলিপি অর্থাৎ কপি নিজহাতে লিখিয়া যথাসময়ে মুদ্রাযন্ত্রালয়ে প্রেরণ করা বহু সময়ের আবশ্যক। তাহার পর মুল্যাদি আদায়, অন্যান্য কারণে গ্ৰাহক এবং পত্র-প্রেরক নানালোকের নিকটে পত্ৰাদি লিখিতে অনেক সময় ব্যয় হইত। কাজেই তিনি বাধ্য হইয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পরিত্যাগ করেন। বিদ্যালয়ের প্রাপ্য বেতন