পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVb कांक्रांकन छब्रिनांथ বলিলাম “অত গোলে কাজ কি। গানটা নিয়ে কাঙ্গালের কাছে। যাই, তিনি শেষ অন্তরা এবং ভণিতা ঠিক কোরে দেবেন।” অক্ষয় বলিলেন “তা হবে না ; তঁাকে একেবারে Surprise (অবাক ) কোরতে হবে। রাও না, আমিই একটা নূতন নাম ঠিক কোরছি।” এই বলিয়া একটু মাথা চুলকাইয়া বলিলেন “লেখ জলদা !” আমি কলম ধরিলাম, অক্ষয় শেষ অন্তর বলিলেন “ফিকিরর্চাদ ফকির কয় তাই, কি কর ভাই, মিছামিছি পর ভাবনা ; চল যাই সত্য পথে, কোন মতে, এ যাতনা আর রবে না ।” ব্যস। গানের ভণিত হইয়া গেল। সকলে একবাক্যে স্বীকার করিলেন “ফিকিরর্চাদ” নামটা ঠিকই হইয়াছে। আমাদের ত ধৰ্ম্মভাব ছিল নামের ইহাই ইতিহাস । গানটা হইয়া গেল, তখন আমাদের মধ্যে পাকা ওস্তাদ প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ গানের সুর দিলেন। সুরাটা নূতন কি পুরাতন, তাহা আমি বলিতে পারিব না। কিন্তু পুরাতন হইলেও, ঐ সুর বড়ই বাজিয়া উঠিল; পরে সমস্ত বাঙ্গালা দেশ। ঐ সুরে মাতিয়া উঠিয়াছিল। সেই দ্বিপ্রহরে আমাদের মজলিসে যখন গানের রিহাসেল দেওয়া শেষ হইল, তখন স্থির হইল গানটা একবার কাঙ্গালকে শুনাইতে হইবে। আমরা সকলে তখন দল বাধিয়া বাড়ীর মধ্যে কাঙ্গালের জীর্ণ খড়ের ঘরে যাইয়া উপস্থিত হইলাম। তিনি তখন কি যেন লিখিতেছিলেন। এত বড় একটা রেজিমেন্টকে অসময়ে দেখিয়া তিনি বলিলেন “কি, তােদের আবার তর্ক বেধেছে না কি। তোদের জ্বালায় দেখছি একটু স্থির হ’য়ে