বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

酮 甄 চক্ৰবৰ্ত্তী গম্ভীর ভাবে বলিলেন, “এমন বিশেষ কেউ আসবে না। পাত্রের মাতুল, আর তার দুই চারিজন বন্ধু। সব শুদ্ধ বড় জোর দশ বারজন হবে ।” তারিণীচরণ এতক্ষণে একটা সোয়াস্তির নিশ্বাস গ্রহণ করিয়া গুড়গুড়ির নলটা তুলিয়া লইল। আজ কয়েকদিন হইতেই সে গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর একটা “মিউনো মিউনো” ভাব লক্ষ্য করিতেছিল। কারণ জানিবার জন্য প্রত্যহই সে কথাটা জিজ্ঞাসা করিবে ভাবে-কিন্তু নানা কাজের গোলযোগে পড়িয়া সময়মত আর সে কথাটা এ পৰ্যন্ত জিজ্ঞাসা করা হয় নাই। আজিও গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর মুখের সেই ভাবটা লক্ষ্য করিবামাত্র সেই কথাটা জিজ্ঞাসা করিবার জন্য বাস্ত হইয়া পড়িল । গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর দিকে ফিরিয়া বলিল, “চক্ৰবৰ্ত্তী, আজি ক'দিন থেকে তোমায় এমন ‘মিউনো মিউনো” দেখছি কেন ? অসুখ বিসুখ কিছু ক’রেছে নাকি ?” তখন চক্ৰবৰ্ত্তী একজন ব্ৰাহ্মণের হস্ত হইতে একটা থেলো হুক। দখল করিয়া প্ৰবল টানে ধোয়া বাহির করিবার চেষ্টায় ছিল । তারিণীচরণের প্রশ্নে সে হুকটায় একটা ‘সুখ টান’ দিয়া গম্ভীরভাবে বলিল, “অসুখ বিসুখ এমন কিছু নয় ;-তবে সেদিন রায় মহাশয়ের মুখে একটা বড় বেফাস-’ তারিণীচরণ মহা ব্যস্তভাবে গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “সে কি রকম ! রায় মহাশয়ের কিছু গোলমাল করবার মতলব আছে না কি ?” গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী অতি মৃদুস্বরে বলিল, “কথাটার অর্থ ঠিক > Q R