পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। smagsmomene বুঝতে না পারলেও,-ওই রকমই যেন একটা কিছু মনে श् ।।” একটা কেবলমাত্র “হু’ বলিয়। আবার তারিণীচরণ গুড়গুড়ীর নলটা টানিতে লাগিল। তাহার মুখখান। গম্ভীর ভােব ধারণ করিল, সে কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া সহসা বেগে চড়া পর্দায় বলিয়া উঠিল, তা হ’লে আমিও কিন্তু সোজায় ছাড়াছনি চক্ৰবৰ্ত্তী । একবার যদি কোনক্রমে জানতে পারি, রায় মহাশয়ের মতলব খারাপ, তা’হলে আমি এমন ব্যবস্থা করবো, যে তার আদুরে নাতিকে আর ছ। মাস পত্তি কৰ্ত্তে হবে না। ’ এক ফৌজদারীর ভয়েই গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর ভিতরটা শুকাইয়া উঠিয়াছিল-আবার ফৌজদারী ! গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর পেশ ঘটকালি-মিলনের রাগিণী শোনাই তাহার অভ্যাস, এ দামামা তাহার সহ্য হইবে কেন ? বিবাহের উপর আর তাহার 'মোটেই আস্থা রহিল না | চক্ষের সম্মুখে যেন তাহার সমস্তই অন্ধকার হইয়া আসিতে লাগিল । তারিণীচরণের মুখেও কথা নাই, সে গম্ভীরভাবে সেই বিষয়টাই চিন্তা করিতেছিল, সেই সময় তথায় কালি ভড়ের আবির্ভাব হইল। কালি ভড়কে বৈঠকখানায় প্রবেশ করিতে দেখিয়া তারিণীচরণ আর একবার চাঙ্গা হইয়া উঠিল। সে কালি ভড়কে সাদর-সম্ভাষণ করিয়া কবলিল, “আসুন ভড় মশাই, আপনাদের যে আর দেখাই নেই } অত-বড় একটা কাজকোথায় দেখবেন শুনবেন, করবেন। করম্যাবেন-তা মোটে দেখাই নেই।”