পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रूढी-शक्षु । ھے۔ এই শেষ বরষার বিদায় সমারোহের মধ্যে তঁহার দৃষ্টি পড়ায় তাহার হৃদয়দ্বারা যেন উদঘাটিত হইয়া গেল। আকাশের এই কৃষ্ণ অন্ধকার ভেদ করিয়া কে ধেন ভঁাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল। কে যেন বর্ষাকাশ হইতে বিদীর্ণ মেঘাচ্ছরিত সমস্ত বিচ্ছিন্ন রশ্মিকে কুড়াইয়া লইয়া একমাত্ৰ ভঁহারই মুখের উপরে অনিমেষ দৃষ্টির দীপ্তি কাতরতা প্রসারিত করিয়া দিল । পূর্বে যে জীবনটা অখিলচন্দ্রের সুখে সন্তোষে কাটিয়া গিয়াছে, আজ সেই জীবনটাকেই তিনি মহা ভারি বলিয়া মনে করিতে লাগিলেন । এমন কত মেঘের সন্ধা-কত পুৰ্ণিমার রাত্ৰিকত ভাবে কতদিন আসিয়াছিল। কিন্তু তাতার শূন্য হৃদয়ের দ্বারের কাছে আসিয়া সুধাপাত্র হস্তে নিরাশ হইয়া ফিরিয়া গিয়াছে। সেই দুল্লভ শুভক্ষণে কত সঙ্গীত কত ভাবে অসম্পন্ন রহিয়া গিয়াছে, কে তাহার নির্ণয় করিবে । প্রেমের বেদনায় সমস্ত জল স্থল আকাশের কেন্দ্ৰ-কুহর হইতে যে এমন রাগিণীতে এমন বঁাশী বাজিতে পারে তাহ চিরান্ধ অখিলচন্দ্ৰ পূর্বে কখনও অনুমান করিতে পারেন নাই। ষে পুষ্পের সুন্দর কোমল করাস্পর্শ এক মূহুর্তে অকস্মাৎ এই অপরূপ সৌন্দৰ্যালোকে উপস্থিত করিয়া দিয়াছে, তাহার পাওয়ার আশা তিনি কেমন করিয়া ছাড়িতে পারেন ? তাহার দৃষ্টি,-"তাহার আকাঙ্ক্ষী-ত্যাহার বাসনা আজ যেন একস্থানে কেন্দ্ৰীভূত হইয়া কেবল একটার জন্য আকুল উচ্ছাসে ছুটিয়াছে। তাই থাকিয়া থাকিয়া ঘন নিশ্বাসে। তঁহার দেহের সমস্ত রক্তস্রোত তোলপাড় হইয়া >> マ