বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধু । উঠিতেছে। কেমন যেন একটা কিসের সুকোমল মধুর স্পর্শেফুলের মত অপূর্ব পুলিকে তঁাতার সমস্ত হৃদয়টাকে বেষ্টন করিয়৷ ফুটিয়া উঠিতেছে । চক্ষু মুদ্রিত করিয়া স্বপ্ন-জাগরণের মধ্যে দিয়া অখিলচন্দ্রের এই নিরানন্দ সময়টা কাটিয়া যাইতেছিল, সহসা চক্ষু মেলিয়া চাহিয়া। দেখিলেন সম্মুখে দাদামহাশয় । তাহার নয়ন ভরা সেহ দৃষ্টি আকুল আগ্রহে তাহার দিকে চাতিয়া আছে। সে দৃষ্টিতে আজি একটা অংশ নিরাশার প্রবল স্পন্দন স্পষ্টই প্ৰতীয়মান হইতেছে । গৌরীশঙ্কর রায় তাহার পৌত্রের বিবাহ সম্বন্ধে যে জটিল চিন্তাজালে জড়িভূত হইয়া এতদিন সমস্ত কাজকৰ্ম্ম বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন, আজি সমাপি, মন্দিরে এক মুহূৰ্ত্তেই তাহা তাহার নিম্পত্তি হইয়া গিয়াছে । কি করিলেন আর কি করিবেন না, সেই প্রবল ঝড়ের মধ্যে আজ তিনি তাহ। একেবারে স্থির করিয়া ফেলিয়াছেন ; বিশ্ব প্ৰকৃতি যখন প্ৰলয়ের বেশে সজ্জিত হইয়। আকাশে বাতাসে মাতামাতি করিতেছিল, তখন একৃপানি ক্ষুদ্র মুখের দিকে চাহিয়া র্তাহার জটিল সমস্যার মীমাংসা হইয়া গিয়াছে। তাই তিনি বাটী ফিরিয়াই পৌত্রের সন্ধানে উপরে আসিয়াছিলেন। উপরে আসিয়া কক্ষের সম্মুখস্থ বারান্দার উপর একখানা আরাম কেদারায় শায়িত, চক্ষু মুদ্রিত পৌত্রের স্নান মুখখানিক্স প্রতি চাহিয়া তাহার স্থবীর প্ৰাণের সমস্ত স্নেহ যেন হৃদয়ের উৎস খুলিয়। উথলিয়া উঠিল। যখন তাহার জগতের নিবিড় স্নেহ বন্ধন গুলি একে একে খসিয়া दर्भ ১২৯৯